বান্দরবানের লামায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে ভিকটিম ও তার পরিবার। বুধবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে লামা হাসপাতালে ধর্ষিতা মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসেন মা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিম ও পরিবারকে থানায় আসতে বলি। এই বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে।
লামা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. রায়হান জান্নাত বিলকিস সুলতানা বলেন, ভিকটিমের শরীরে ধর্ষণের আলামত রয়েছে। আমরা তাকে বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রেফার করেছি।
ভিকটিম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে সে ও তার একটি ছোট বোন ছিল। আর কেউ ঘরে ছিল না। এ সুযোগে ধর্ষক মো. সাইফুল বাড়ির আঙিনায় এসে তার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে বাড়ির পাশে পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
ধর্ষক মো. সাইফুল লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হারগাজা এলাকার সেকান্দর আলীর ছেলে। ভিকটিম নবম শ্রেণির ছাত্রী বলে প্রতিবেদককে জানায়।
সূত্র: যুগান্তর