কথায় কথায় হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কথায় কথায় এত হতাশ হবেন না। এটা অনেকটা মানসিক সমস্যার মতো। আমরা একটুতে হতাশ হই, একটুতে উৎফুল্ল হই।’
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ব্যর্থ বিশ্বকাপ অভিযান শেষে বাংলাদেশ দলের একাংশ দেশে ফিরেছে গত ৫ নভেম্বর। তবে এবারের ফেরাতে রাখঢাকের ছিল না কিছুই। যতটা গণমাধ্যমের ক্যামেরা আর সমালোচকদের এড়িয়ে মুখ লুকিয়ে বিমানবন্দর ছাড়েন ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপের মূলপর্বে টাইগাররা পাঁচ ম্যাচ হেরে রীতিমতো হোয়াইটওয়াশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। দলের এমন হারের রেশ এখনো সাবেক ক্রিকেটার থেকে দর্শক-ভক্ত, বোদ্ধাদের কথায় রয়ে গেছে। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন- বিশ্বকাপ চলাকালীন বোর্ড-ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্বের কারণেই ব্যাকফুটে চলে যাওয়া বাংলাদেশ আর খেলায় ফিরতে পারেনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এই পারফরম্যান্স নিয়ে আজ এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। ওই সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশের এই পারফরম্যান্সে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) হতাশাজনক বলে মনে করেন কি?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা এত হতাশ হচ্ছেন কেন। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বকাপে খেলছে, দুই একটি দলকে হারাচ্ছে এটাই তো বড় কথা। তারা খেলছে এটাই অনেক। আমি চাচ্ছি, তাদের আরও ট্রেনিং করানো। একটুতে হতাশ হওয়া যাবে না আবার বেশি উৎফুল্ল হওয়াও যাবে না। আগামীতে ভালো করবে।’
কপ-২৬ সম্মেলন এবং যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফর নিয়ে অবহিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরের ওপর সাধারণ আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে তার সদ্যসমাপ্ত সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী ৩১ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গ্লাসগো, লন্ডন ও প্যারিসে সরকারি সফরকালে কপ-২৬ এ বিশ্বনেতাদের শীর্ষ সম্মেলন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ২০২১, ইউনেস্কো সদরদপ্তরে সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান, ইউনেস্কোর ৪১তম সাধারণ সম্মেলন, প্যারিস শান্তি ফোরাম, ইউনেস্কোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সূত্র: যুগান্তর