ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণের সময় সামনের চাকা ফেটে গেছে।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ২০মিনিটে সংঘটিত এ ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ৬৭ যাত্রী। তবে হঠাৎ চাকা ফেটে যাওয়ার পর প্রচন্ড হোটচ খেয়েছেন যাত্রীরা। ঝাকুনির ফলে ভেতরে সিট ও বাংকারের সাথে ধাক্কা খেয়েছেন অনেক যাত্রী। আতঙ্কে তারাহুরো করে লাফিয়ে নামতে গিয়ে অনেকেই নিচে পড়ে আহত হয়েছেন। এয়ারবাসটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বিকল হয়ে রানওয়ের মাঝ বরাবর অবস্থান করায় ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সাথে যাত্রীরা ভীত সন্ত্রস্ত রয়েছেন। আর ঢাকাগামী যাত্রীরা পরেছেন বিপাকে।
দুর্ঘটনা কবলিত এয়ারবাসের যাত্রী নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু জানান, নভোএয়ারের ভিকিউ ৯৬৭ ফ্লাইটটি সন্ধা ৬টা ৪৫মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। সন্ধ্যা ৭টা ২০মিনিটে ৬৭ জন যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণের সময় সামনের চাকা রানওয়ে ছোয়া মাত্রই বিকট শব্দে ফেটে যায় (ব্লক হয়)। এতে চলন্ত এয়ারবাসের চাকা রানওয়ের কংক্রিটে ঘষা লেগে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাইলট দ্রুত এয়ারবাসটির ইঞ্জিন অফ করে দেন। এতে রানওয়েতেই বিকল হয়ে পড়ে। পুরো এয়ারবাস অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। বিকট শব্দে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পরেন।
পরে গেট খুলে দিলে তড়িঘড়ি করে যাত্রীরা ছুটতে থাকেন। এতে অনেকেই পরে গিয়ে আহত হয়েছেন। শিশু নারী ও বয়স্করা নামতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন।
এদিকে এয়ারপোর্ট থেকে কর্মকর্তা কর্মচারীরাও দ্রুত ছুটে যাত্রীদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করেন।
নভোএয়ার কর্তৃপক্ষ তাদের আস্বস্ত করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের যাত্রা কখন সম্ভব হবে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে বিমানবন্দরে অবস্থান করবেন না ফিরে যাবেন এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় আছেন যাত্রীরা।
সৈয়দপুর আঞ্চলিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ জানান, এয়ারবাসে আগুন লাগার কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুধু চাকা ফেটে গেছে। এটা বড় কোনো সমস্যা নয়। যাত্রীদের প্রয়োজনে এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকায় পৌঁছানো হবে।
নভোএয়ার কর্তৃপক্ষের স্থানীয় মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস অফিসার বাপ্পা জানান, সামনের চাকা ফেটে যাওয়ায় এয়ারবাস বিকল হয়েছে। এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ সবগুলো ফ্লাইট স্থগিত করেছেন। তাই আগামীকাল যাত্রীদের অন্য ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছানো হবে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত