ঘটনাটি নরসিংদীর রায়পুরা থানার। ঘটনার দেড় বছর পর জানা গেল বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল কথিত প্রেমিক।
রায়পুরা এলাকার এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দু’জনকে গ্রেফতার করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে প্রধান আসামি আমিনুল।
পিবিআই জানায়, আসামি সুজন মিয়া ও আসামি জহিরুল ইসলামকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জানা গেছে, নরসিংদীর নিপা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই গ্রামের আমিনুলের। কিন্তু নিপার হঠাৎ অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
আমিনুলের সঙ্গে আবারো সম্পর্ক হলে একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন নিপা। কিন্তু আমিনুল বিয়ে করতে রাজি না হয়ে বরং তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো: এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, নিপা বিয়ের জন্য আমিনুলকে চাপ দেন। এতে আমিনুল তার সহযোগী সুজন মিয়া, জহিরুল ইসলামসহ অন্যদের নিয়ে নিপাকে বিয়ে করার কথা বলে গত বছরের ২৪ এপ্রিল মেঘনা নদীতে নৌভ্রমণে নিয়ে যান।
সেখানে নিপাকে হত্যা করে লাশ নদীর চরে মাটিচাপা দেয়ার পরিকল্পনা করেন তারা। তারা নিপাকে মাঝনদীতে নিয়ে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ ও নৌকার কাঠ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। এরপর তারা লাশনদীর চরে মাটিচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু নদীতে জেলেরা থাকায় তারা নিপার লাশ মাটিচাপা দিতে পারেননি। পরে তারা লাশ মেঘনা নদীতে ফেলে দেন।
মেয়ের হত্যার মামলার বাদী নিপার মা জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন এখনো তাকে হত্যার হুমকি দেয়। ‘আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয় প্রায় সময়। বাড়ি যেতে না করে। আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত