মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় তিনটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার মালপদিয়া বকুলতলায় মাসুদ করিমের বাড়ির পাশে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
মধ্যপাড়ার মালপদিয়া গ্রামের মাসুদ করিম বলেন, মালপদিয়ার বকুলতলা এলাকায় সোমবার রাতে ট্রান্সফরমার চুরি করে মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তবে তাদের কাউকে এ পর্যন্ত ধরা যায়নি।
এলাকার মো. মফিজ, আব্দুল করিম, মো. জাবেদ বলেন, বর্তমান সিরাজদিখান অফিসের ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুল হাসান উপজেলায় ডিজিএস হিসেবে যোগদানের পর থেকে লোডশেডিং, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি, ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল বেড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি রোধে তিন এলাকায় কোনো ধরনের গণসচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ করেননি। ট্রান্সফরমার চুরি রোধে জনগণকে বোঝালে এ ধরনের ট্রান্সফরমার চুরি অহরহ ঘটত না বলে জানান তারা।
এলাকার মাসুদ করিমের বাড়ির কেয়ারটেকার মো. হাবিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস তালতলা অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ মিয়া মো. ওয়ারেস এসে দেখেন— মালপদিয়ার বকুলতরা বৈদ্যুতিক তিনটি ট্রান্সফরমার থাকা খুঁটিটি লক করে রাখেনি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে আমরা এসব বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও বাড়ির আশপাশে তদারকি করে থাকি। এর পর কী করে এ ঘটনা হলো বোঝা যাচ্ছে না। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার তালা বা ঝালাই না করে রাখায় বিদ্যুৎ অফিসের অবহেলার কারণেই এমনটি হতে পারে।
তবে এ বৈদ্যুতিক তিনটি ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়ে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুর রহমান বলেন, ভালো কাজ হয়েছে। তিনি রাগান্বিত হয়ে উচ্চবাচ্চে কথা বলেন।
এদিকে মধ্যপাড়া ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা ট্রান্সফরমার চুরি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সিরাজদিখান থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি আমলে নিয়ে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হবে।
সূত্র: যুগান্তর