মানুষ সাধারণ হয়েও অসাধারণ হয়ে ওঠে, তার নিজস্ব গুণে অথবা তার চেহারার বৈশিষ্ট্যে। এমনই একজন মানুষ আছেন যিনি তার নিজ চেহারা বৈশিষ্ট্যের কারণে সকলের নজর কেড়েছেন। আর পাঁচজনের থেকে আলাদা এই মানুষের নাম মেহমেত ওজুরেক। তুরস্কের বাসিন্দা মেহমতের লম্বা নাক অন্যদের থেকে আলাদা। যা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নামও উঠেছে মেহমেত ওজুরেকের।
মেহমেতের চেহারার বৈশিষ্ট্য তার লম্বা নাক। এই বৈশিষ্ট্য মেহমেতকে এনে দিয়েছে বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নাকের জীবিত পুরুষ তুরস্কের মেহমেত। দীর্ঘ দুই দশক ধরেই মেহমত তার এই রের্কড ধরে রেখেছেন। শুধু বিশ্ব রেকর্ড অর্জন নয়, দুই দশক ধরে এ রেকর্ড ধরে রেখেছেন মেহমেত।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০০১ সালে প্রথম মেহমেতের নাকের মাপ নেয়া হয়। সেখানে দেখা যায়, তার নাক ৮ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার বা ৩ দশমিক ৪৬ ইঞ্চি লম্বা। ওই বছরই বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নাকের পুরুষ হিসেবে স্বীকৃতি পান মেহমেত ওজুরেক।
গত দুই দশকে দুবার মেহমেতের নাকের মাপ নিয়েছে গিনেস কর্তৃপক্ষ। প্রথমে ২০১০ সালে, এর পর ২০২১ সালে নাকের মাপ নেয়া হয়। দেখা গেছে, গত দুই দশকে মেহমেতের নাকের মাপ একই রয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নাকের পুরুষের রেকর্ড ধরে রেখেছেন তিনি। আর কটি বিষয় হলো, এই লম্বা নাকের কারণে মেহমতের ঘ্রাণশক্তিও অন্য সকলের চেয়ে আলাদা।
মেহমত জানিয়েছেন, ‘অন্য মানুষ যেখানে কোনো গন্ধ পান না, সেই জায়গাতেও আমি গন্ধ শনাক্ত করতে পারি। এমনকি আমি বাড়িতে ঢুকেই গন্ধ শুঁকে বলে দিতে পারি কী রান্না হয়েছে।’
২০১০ সালে ইতালির একটি টিভি শোতে অংশ নিয়েছিলেন মেহমত। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিশেষ শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মেছি। স্রষ্টা আমাকে অন্যদের তুলনায় বড় আকারের নাক দিয়েছেন। অনেক সময় আমার বন্ধুরা এই নিয়ে হাসি মস্করা করে। রাস্তায় মানুষও হা করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। অনেক সময় মন খারাপ হয়ে যায়। তবে আমি আমার এই বিশেষ শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়েও আমি সন্তুষ্ট। আমার এই বৈশিষ্ট্যই আমাকে বিশ্ব রেকর্ড এনে দিয়েছে’। আমার পূর্ব পুরুষদের নাকও স্বাভাবিকের চেয়ে লম্বা ছিল’।
উল্লেখ্য, তুরস্কের মেহমেত ওজুরেকের আগে ১৯৭০ সালে লম্বা নাকের তকমা কুড়িয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের থমাস ওয়েডারস। সার্কাসে কর্মরত ছিলেন তিনি। থমাসের নাক লম্বায় ছিল ১৯ সেন্টিমিটার বা ৭ দশমিক ৫ ইঞ্চি।
সূত্র : পুবের কলম