আজ ৭ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্ত হয় নাসিরনগর উপজেলা।
প্রতি বছরই এই দিনটিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন। নাসিরনগর মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারিভাবে কোনো কর্মসূচি না থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামবাসীর ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। উপজেলার ফুলপুর, নুরপুর, কুলিকুন্ডা, সিংহগ্রাম ও তিলপাড়া গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালোনো হয়। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে আজকের দিনে নাসিরনগর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ স্টেশন) স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোহরাব মোল্লা দাবি করে বলেন, গত বছরও আমরা নাসিরনগর মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা করেছি। কিন্তু এ বছর মুক্তিযোদ্ধাদের নিজেদের দ্বন্দ্ব থাকায় হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা যাচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি হালিমা খাতুন বলেন, নাসিরনগর মুক্ত দিবস পালনে সরকারিভাবে কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি।
সূত্র: যুগান্তর