এক ভাই আরাধনের খুনের বিচার পেলাম না, আবার আরেক ভাই সুর্জয় খুন হয়ে গেল। গরীব বলেকি আমরা বেঁচে থাকতে পারব না? আমাদের এক ভাইকে আগেই হত্যা করেছে, এবার একমাত্র ভাইকেও খুন করল।’ ভাইদের হত্যার বিচার দাবিতে রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে মানববন্ধনে এসে এভাবে আহাজারি করেন দূর্গা বিশ্বাস।
গত শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সুর্জয় বিশ্বাসকে (২১) হত্যা করে তার জীবিকার একমাত্র মাধ্যম ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা। সে গোয়ালন্দ পৌরসভার ক্ষুদিরাম সরকার পাড়া মহল্লার লক্ষণ বিশ্বাসের ছেলে।
গত শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুরে সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের একটি আমবাগান থেকে সুর্জয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বছর তিনেক আগে সুর্জয়ের ছোট ভাই আরাধন ক্রিকেট ব্যাটের
আঘাতে মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার বিচার দাবিতে রোববার বিকেলে এলাকাবাসী ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাস স্ট্যান্ডে মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে অংশ নেয়া শত শত মানুষ এক পর্যায়ে মহাসড়কে বসে পড়ে অবোরধ সৃষ্টি করে। বিকেল সারে তিনটার দিকে মহাসড়ক সম্পুন্ন বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হত্যাকান্ডের বিচারের আশ্বাস দিলে প্রায় এক ঘন্টা পর মহাসড়কে পুনরায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, আমরা জানতে পেরেছি গত বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে সুর্জয় বিশ্বাস কয়েকজন যাত্রী নিয়ে গোয়ালন্দ থেকে ফরিদপুর শহরের আলীপুরের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর শুক্রবার তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইজিবাইকটি ছিনতাই করার জন্য তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত