গাজীপুরে দাম্পত্য কলহের জেরে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে ও গায়ে আগুন লাগিয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইল থানাধীন বিন্দান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জিএমপি’র পূবাইল থানার ওসি মোহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের নাম- সালমা আক্তার (৩৪)। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইল থানাধীন বিন্দান এলাকার মৃত আজমত আলী ভূইয়ার মেয়ে এবং একই এলাকার জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) পূবাইল থানার ওসি মোহিদুল ইসলাম নিহতের স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইল থানাধীন বিন্দান এলাকার জাহিদুল ইসলাম নিজ বাড়ি স্ত্রী সালমা আক্তারসহ তিন সন্তানকে নিয়ে থাকেন। জাহিদুল ও সালমা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন। কয়েকদিন আগে জমির বিক্রির টাকার হিসাব চাওয়ায় সালমার সঙ্গে তার স্বামীর ঝগড়া বিবাদ হয়।
এর জের ধরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে রবিবার বেলা ১১টার দিকে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সালমা। এসময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে দগ্ধ সালমাকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
দগ্ধ সালমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে মারা যান তিন সন্তানের জননী সালমা। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে নিহতের মা রাবেয়া আক্তার বাদী হয়ে জাহিদুলকে আসামি করে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পূবাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন