দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন, সাপ্তাহিক আর নির্বাহী কোর্স ব্যবসা দারুণ রমরমা। লেখাপড়ার নামে একশ্রেণির চাকরিজীবী মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে এই ডিগ্রি অর্জন করছেন। একশ্রেণির শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ মজা পেয়ে এ ধরনের কোর্সে মেতে উঠেছে।
এতে মূলধারার লেখাপড়া ও গবেষণা ভয়ানকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। ব্যবসায়িকভিত্তিতে পরিচালিত এসব কোর্স প্রকারান্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। শুধু তাই নয়, এমন কর্ম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বেমানান। তাই এ ধরনের কোর্স বন্ধ হওয়া জরুরি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করেছে সংস্থাটি। আইন অনুযায়ী এখন এটি আগামী সংসদ অধিবেশনে পেশ করা হবে।
জানা গেছে, প্রতিবেদনে মোট ২০টি সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া সাক্ষাৎকালে ইউজিসি বিগত এক বছরের কার্যক্রম রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে।
প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হচ্ছে-টিউশনসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের শিক্ষার্থী ফি যৌক্তিক পর্যায়ে আনা; পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম বন্ধে একটি নীতিমালা প্রণয়ন; প্রয়োজনে আর্থিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন সমুন্নত রেখে একটি ‘সমন্বিত আর্থিক নীতিমালা ও ম্যানুয়াল’ কার্যকর; বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ ও কার্যক্রম গ্রহণ; গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি বিষয়টি সংজ্ঞায়িতসহ এ বিষয়ক সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি; গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো; অস্তিত্বহীন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস চিহ্নিত ও সীমিত পরিসরে স্বনামধন্য বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অবকাঠামোগত ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ শাখা অফশোর ক্যাম্পাস স্থাপন ও পরিচালনার অনুমতি।
এছাড়া উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ট্রেনিং একাডেমি, সেন্ট্রাল রিসোর্স ল্যাবরেটরি ও ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার সুপারিশও করেছে ইউজিসি।
সূত্র: যুগান্তর