বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০২১ সালে প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা নীতিতে মৌলিক বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।
যেমন, ব্রিটেন প্রতিরক্ষা খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং সাইবার প্রযুক্তিতে বাজেট বাড়িয়েছে। পাশাপাশি সনাতনী যুদ্ধাস্ত্র ও সৈন্য সংখ্যার পেছনে ব্যয়বরাদ্দ কমিয়েছে।
একই সময়ে, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ বাড়িয়েছে। মস্কো বেশ কড়া ভাষায় দাবি করেছে নেটো যেন রাশিয়ার ঘরের পাশে তাদের সদস্য দেশগুলোতে সামরিক তৎপরতা বন্ধ করে। চীন আরও উচ্চ কণ্ঠে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে প্রয়োজন হলে লড়াই করে তারা তাইওয়ান পুনর্দখল করবে।
একইসঙ্গে ২০২১য়ে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিক পর্যায়ে যুদ্ধ বেঁধেছে। ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘাতে ২০১৪ সাল থেকে প্রাণ হারিয়েছে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। সিরিয়ায় বিদ্রোহ কিছুটা ছাই চাপা আগুনের মত স্তিমিত রয়েছে এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে চোখে পড়ার মত।
এই পটভূমিতে আগামী দিনগুলোতে বড় বড় শক্তির যুদ্ধের কৌশল কী হতে যাচ্ছে? আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কী ধরনের সমরাস্ত্র নিয়ে তৈরি হচ্ছে পশ্চিমা শক্তিগুলো?
‘আগামীর যুদ্ধ কৌশল’ শুরু হয়ে গেছে?
“ভবিষ্যত সমর কৌশল”এর একটা রূপরেখা আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি বলা চলে।
একদিকে পশ্চিমা দেশগুলো আর অন্যদিকে বলা যায়, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে, বড় ধরনের সংঘাতে কী ধরনের প্রযুক্তি, কী ধরনের কৌশল ব্যবহার হবে, তা ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে, তার মহড়া হয়ে গেছে এমনকি তা মোতায়েনও করা হয়েছে।
রাশিয়া ১৬ই নভেম্বর মহাকাশে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়, যাতে তাদের নিজেদেরই একটি ক্ষেপণাস্ত্র তারা ধ্বংস করে। গ্রীষ্মে চীন তাদের উন্নত হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রর পরীক্ষা চালায়। হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে অনেক গুণ দ্রুত গতিতে ছুটতে সক্ষম।
এর বাইরে, সাইবার দুনিয়ায় ক্ষতিসাধনকারী হামলা চালানো, তা সে কোন ব্যবস্থাকে অচল করে দেবার উদ্দেশ্যে হোক বা কোন কিছু হাতিয়ে নেবার লক্ষ্যেই হোক, একটা দৈনিন্দন ঘটনায় দাঁড়িয়েছে। যে ধরনের হামলা পরিচিত “সাব-থ্রেশহোল্ড ওয়ারফেয়ার” হিসাবে যেখানে সামনাসামনি বা প্রত্যক্ষ যুদ্ধ হচ্ছে না, কিন্তু যেটা পরোক্ষ একটা যুদ্ধ।
রাশিয়া ও চীন পশ্চিমের জন্য ‘চরম ঝুঁকি’
মিশেল ফ্লুওরনয় প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন এবং প্রেসিডেন্ট ওবামা ক্ষমতায় থাকাকালীন আমেরিকান কৌশল নির্ধারণে পেন্টাগনের নীতি বিষয়ক প্রধানের পদে কাজ করেছেন। তিনি বলছেন গত দুই দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর নজর ছিল শুধু মধ্য প্রাচ্যে- মধ্য প্রাচ্য নিয়ে তারা এতটাই ব্যস্ত থেকেছে যেসময় তাদের প্রতিপক্ষ দেশগুলো সামরিক দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে গেছে।
“কৌশলগত দিক দিয়ে আসলেই আমরা একটা দুর্বল জায়গায় রয়েছি। আমরা - অর্থাৎ আমেরিকা, ব্রিটেন এবং আমাদের মিত্র দেশগুলো - আমরা বিশ বছর ধরে শুধু নজর দিয়েছি সন্ত্রাস ঠেকাতে আর বিদ্রোহ সামলাতে, ইরাকে আর আফগানিস্তানে যুদ্ধ করে সময় কাটিয়েছি। এখন চোখ খুলে আমরা দেখছি আমরা একটা খুবই গুরুতর, বিশাল একটা শক্তিমত্তার প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয়েছি,” তিনি বলছেন।
তিনি অবশ্যই এখানে রাশিয়া আর চীনের প্রতি ইঙ্গিত করছেন। ব্রিটিশ সরকারের একটি প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় এই দুই দেশকে “চরম ঝুঁকি” এবং দীর্ঘমেয়াদের জন্য তাদের পশ্চিমের “কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী” বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
“আমরা যখন ব্যাপক পরিসরে মধ্য প্রাচ্যকে নিয়ে পড়েছিলাম, তখন এই দেশগুলো পশ্চিমা কায়দায় যুদ্ধ লড়ার স্কুলে পাঠ নিয়েছে। এবং তারা বিভিন্ন ধরনের নতুন প্রযুক্তিতে বাপক মাত্রায় বিনিয়োগ শুরু করেছে,” বলেছেন মিশেল ফ্লুওরনয়।
সম্মুখ-সমরের চরিত্র কী হবে?
তবে এর বেশির ভাগটাই বিনিয়োগ করা হয়েছে সাইবার হামল চালানোর প্রযুক্তি ও কর্মকাণ্ডে, যেমন পশ্চিমা সমাজের মূল্যবোধকে আঘাত করতে, তাদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে, নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে, এবং স্পর্শকাতর তথ্যউপাত্ত চুরি করতে চালানো বিভিন্ন হামলায়। এগুলো সম্মুখ-সমরের পর্যায় থেকে অনেক দূরে এবং এধরনের হামলার বেশিরভাগই অস্বীকার করা সম্ভব।
কিন্তু ধরা যাক, ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব এবং রাশিয়ার মধ্যে বর্তমান উত্তেজনা বা তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে যে উত্তেজনা, তা নিয়ে যুদ্ধ বাঁধল। তখন কী হবে? সেই যুদ্ধ বাঁধলে তার ধরণ কী হবে?
“আমার মনে হয় সেটা তখন খুব দ্রুত বদলে যাওয়া একটা আবহ তৈরি করবে, আর সেটা ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়বে তথ্য প্রবাহের ডোমেইনগুলোর ওপর,” বলছেন ইন্টারন্যাশানাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস (আইআইএসএস)-এর একজন সিনিয়র গবেষক মেইয়া নুওয়্ন্সে। তিনি এই মন্তব্য করেছেন সামরিক কৌশলে তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে চীনের এগিয়ে থাকার প্রতি ইঙ্গিত করে।
“চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স নামে একটি সংস্থা গড়ে তুলেছে, যাদের কাজ সাইবার জগত, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ এবং ইন্টারনেটের সক্ষমতা নিয়ে।”
কিন্তু বাস্তবে এর অর্থ কী দাঁড়াবে? এধরনের লড়াই বাঁধলে প্রথমেই যেটা হবে, সেটা হল দু পক্ষেই বিশালভাবে সাইবার হামলা শুরু হয়ে যাবে। দু পক্ষই একে অন্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন স্যাটেলইট ব্যবস্থাকে “অকেজো” করে দেবার চেষ্টা করবে, অথবা সমুদ্রের তলা দিয়ে যে কেবল্ ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য প্রবাহিত হয়, সেগুলো কেটে দেবার চেষ্টা করবে।
আইআইএসএস-এ ভবিষ্যত যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে বিশেষজ্ঞ ফ্রানয-স্টেফান গ্যাডিকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম - আপনার আমার মত সাধারণ মানুষের ওপর এর কী প্রভাব পড়তে পারে? অর্থাৎ আমাদের জন্য এধরনের লড়াইয়ের অর্থ কী হবে? আমাদের ফোন কী হঠাৎ করে অকেজো হয়ে যাবে? পেট্রল স্টেশনে কী হঠাৎ করে তেল ফুরিয়ে যাবে? খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা কী আকস্মিকভাবে অচল হয়ে পড়বে?
“হ্যাঁ- এগুলো ঘটা খুবই সম্ভব,” তার উত্তর: “কারণ পরাশক্তিগুলো সাইবার স্পেসের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে লড়াই চালানোর সম্ভাবনায় বিশাল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে। শুধু তাই নয়, ইলেকট্রনিক সমরাস্ত্রের পেছনেও প্রচুর বিনিয়োগ হচ্ছে- যেমন উপগ্রহ ব্যবস্থা ‘জ্যাম’ করে দেয়া এবং যোগাযোগ সক্ষমতা অচল করে দেয়া। ফলে আগামী দিনের সংঘাতে লড়াইয়ের টার্গেট শুধু সামরিক বাহিনী হবে না, মূল লক্ষ্য হবে সার্বিকভাবে গোটা সমাজ।”
সবচেয়ে বড় সামরিক ঝুঁকি কী?
সবচেয়ে বড় সামরিক ঝুঁকির জায়গা হল অপরিকল্পিতভাবে ব্যাপক হামলা। উপগ্রহ ব্যবস্থা অচল হওয়ায় যখন যোগাযোগ বিপর্যস্ত, তখন মাটির নিচে বাঙ্কারে বসে যুদ্ধ পরিকল্পনা করছেন যারা, তারা তো জানতেই পারছেন না কী ঘটছে। তখন লড়াইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সে সিদ্ধান্ত নেয়া তাদের জন্য খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
মেইয়া নুওয়্ন্সে বলছেন এধরনের পরিস্থিতিতে তাদের সামনে থাকবে দুটো রাস্তা - হয় “ন্যূনতম” নাহয় “সর্বোচ্চ” মাত্রার আঘাত হানা -যেটা হবে অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়া। আর এর যে কোন একটারই মধ্যে দিয়ে যুদ্ধের পরিস্থিতিকে আরও উস্কে দেবার ঝুঁকি বাড়বে।
আগামীর যুদ্ধ কৌশলে আরেকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে- সেটা হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা- এআই। এই প্রযুক্তি সমর অধিনায়কদের অত্যন্ত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। তারা অনেক দ্রুত তথ্য যাচাই করে তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
এই প্রযুক্তিতে মানের দিক দিয়ে সম্ভাব্য শত্রুপক্ষের চেয়ে আমেরিকা এগিয়ে আছে বলে মনে করেন মিশেল ফ্লুওরনয়। তার বিশ্বাস চীন তার পিপলস লিবারেশন আর্মির বিশালতার নিরীখে যেখানে অনেক এগিয়ে আছে, সেখানে তাকে টেক্কা দিতে আমেরিকাকে সাহায্য করবে এআই।
তিনি বলেন, মানুষ এবং যন্ত্র দুয়ের বুদ্ধিমত্তা একযোগে কাজে লাগালে শত্রুশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিকল্পনায় এগিয়ে থাকার সুযোগ পাওয়া যাবে।
রাশিয়া ও চীন কোথায় পশ্চিমকে টেক্কা দিচ্ছে
একটি ক্ষেত্রে পশ্চিমের দেশগুলো বিপজ্জনকভাবে রাশিয়া ও চীনের পেছনে পড়ে রয়েছে। সেটা হল হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির ক্ষেত্রে ।
হাইপারসোনিক মিসাইল হল - উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র যা শব্দের চেয়ে পাঁচ থেকে ২৭ গুণ দ্রুত গতিতে যে কোন জায়গায় উড়তে পারে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রের মুখে অপারমাণবিক অথবা পারমাণবিক দুধরনের অস্ত্রই বসানো সম্ভব।
রাশিয়া যারকন হাইপারসোনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে সাফল্যের কথা ঘোষণা করে বলেছিল যে এই ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের যে কোন দেশের যে কোন রকম প্রতিরক্ষাকে পরাস্ত করতে সক্ষম।
চীন ২০১৯ সালে তাদের ডং ফেং ১৭ ক্ষেপণাস্ত্রের কথা প্রকাশ করে। এটিতে হাইপারসোনিক গ্লাইড প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী একটি যান আছে, যা বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে যে কোন নিশানায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রর গতিপর্থ নির্ণয় করা দুরূহ, ফলে তা ধরাও কঠিন।
অন্যদিকে, আমেরিকার উদ্ভাবিত একটি পদ্ধতির সাম্প্রতিক পরীক্ষা সফল হয়নি। চীনের অস্ত্রসম্ভারে নতুন এই অস্ত্র সংযোজিত হওয়ার আমেরিকার দুশ্চিন্তা বেড়েছে এবং চীন তাইওয়ান দখলের জন্য যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিলে আমেরিকা তাইওয়ানের পক্ষে লড়বে কিনা সে নিয়ে আমেরিকাকে এখন দুবার ভাবতে হবে।
পরিস্থিতি পশ্চিমের জন্য কি শুধুই হতাশাব্যাঞ্জক?
কিন্তু এত উন্নত মানের প্রযুক্তি হাতে থাকার পরেও রাশিয়া ২০২২ সালে এসে ইউক্রেন সীমান্তে যে সৈন্য সমাবেশ করেছে সেখানে মূলত সনাতনপন্থী যুদ্ধের সরঞ্জামই চোখে পড়ছে অর্থাৎ ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং সৈন্য, যদিও অবশ্যই তারা সাইবার ও ইলেকট্রনিক হামলার পুরোদস্তুর ক্ষমতা রাখে।
ব্রিটেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরনো প্রথার যুদ্ধ সরঞ্জামের পেছনে ব্যয়বরাদ্দ হ্রাস করে তা নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের। ফ্রানয-স্টেফান গ্যাডি বলছেন এর থেকে লাভের ফসল অবশ্যই পাওয়া যাবে- তবে তা বিশ বছর পরে। কিন্তু তার আগে ব্রিটেনের জন্য শক্তিমত্তার প্রতিযোগিতায় যে ফারাক তৈরি হবে তা উদ্বেগের বৈকি।
“আমার ধারণা আগামী পাঁচ থেকে দশ বছর পশ্চিমের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জের সময়। কারণ এ সময়েই ব্যয় হ্রাসের প্রক্রিয়ার প্রভাবগুলো পড়বে। একদিকে ছাঁটকাটের কারণে অনেক কিছুর অভাব, অন্যদিকে প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ সবে শুরু হওয়ায় সক্ষমতাও পুরোদস্তুর তৈরি না হওয়া -প্রতিরক্ষা কার্যকারিতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে,” তিনি বলছেন।
আর পশ্চিমা দেশগুলোর নিরাপত্তার প্রতি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো আসবে আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যেই। তাহলে পরিস্থিতি কি পশ্চিমের জন্য শুধুই হতাশাব্যাঞ্জক?
মিশেল ফ্লুওরনয় তা মনে করেন না। আমেরিকার প্রতিরক্ষা নীতির কেন্দ্রে তিনি অনেক বছর ধরে কাজ করেছেন। তিনি মনে করেন পশ্চিমকে এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য দুটি দিকে নজর দিতে হবে - মিত্রদের সাথে ঘনিষ্ঠ পর্যায়ে পরামর্শ এবং সমন্বয় আর সঠিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ।
“আমরা যদি একযোগে আলোচনা করি এবং সঠিক প্রযুক্তিতে প্রকৃতভাবে বিনিয়োগ করি, সঠিক পদ্ধতি নিয়ে কাজ করি এবং দ্রুত ও ব্যাপক পর্যায়ে তা গড়ে তোলার কাজে নামি, তাহলে মহাশক্তির মধ্যে লড়াই ঠেকাতে আমরা সমর্থ হব,” তিনি বলছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
সূত্র: বিডি প্রতিদিন