বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন কেস এভাবে বেড়ে যাওয়া নতুন এবং আরও বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভূত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে, সতর্ক করে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বজুড়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লেও প্রাথমিক আশঙ্কার চেয়ে ওমিক্রনকে অনেক কম গুরুতর বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আশা জাগিয়েছে এই মহামারী কাটিয়ে উঠে জীবন দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রবীণ কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড সতর্ক করে দিয়ে এএফপিকে বলেছেন যে, ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের হার বিপরীত প্রভাবও ফেলতে পারে। ওমিক্রন যত বেশি ছড়াবে তত বেশি এর প্রতিলিপি তৈরি হবে এবং তা থেকে একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা ততো বেশি। স্মলউড একটি সাক্ষাত্কারে এএফপিকে বলেছেন, ‘ওমিক্রন প্রাণঘাতী নয় , এটি ডেল্টার মতো মৃত্যু ঘটায় না। তবে কে বলতে পারে এর পরবর্তী রূপটি কী ঝুঁকি নিয়ে আসবে ?’
মহামারীর শুরু থেকে ইউরোপে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি কোভিড কেস নিবন্ধিত হয়েছে। ২০২১ সালের শেষ সপ্তাহে পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি নতুন কেস সামনে এসেছে।
অতীতে আমরা যা দেখেছি তার থেকে অনেক বেশি। ”আমরা খুব বিপজ্জনক পর্যায়ে আছি,পশ্চিম ইউরোপে সংক্রমণের হার খুব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাব কতদূর পড়তে চলেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়”, বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রবীণ কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড।
স্মলউড আরও উল্লেখ করেছেন যে, ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ব্যক্তির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে।
তবে নিছক সংখ্যার কারণে ওমিক্রন আরও বড় হুমকির কারণ হতে পারে। যখন অত্যধিক হারে সংক্রমণ বাড়ে তখন গুরুতর রোগে আক্রান্ত হবার প্রবণতাও বাড়ে , সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর হার।
ইতিমধ্যেই ওমিক্রন নামক সুনামির জেরে ব্রিটেনে হাসপাতালের বাইরে রোগীদের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। অনেকে সময়মতো পরিষেবা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন। কারণ ওমিক্রনের জেরে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ২ লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। স্মলউড বলছিলেন , অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলিতেও এই দৃশ্যটির পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। উন্নত মানের সবরকম পরিকাঠামো থাকলেও এই মুহূর্তে ইউরোপের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে। ওমিক্রন কেস যত বাড়বে সেই চ্যালেঞ্জ কঠিন থেকে কঠিনতর হতে পারে বলে মনে করছেন স্মলউড।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া এবং এএফপি