বঙ্গোপসাগরে ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বঙ্গোপসাগরে গ্যাস হাইড্রেট এবং সামুদ্রিক জেনেটিক সম্পদের ওপর গবেষণার ফলাফল নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) মোহাম্মাদ খুরশেদ আলম।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় মাঠ পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই গবেষণা থেকে বাংলাদেশের একান্ত অর্থনৈতিক এলাকার সার্বিক অবস্থান বিবিধ প্রজাতি চিহ্নিত করাসহ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
সেই ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ২২০ প্রজাতির সিউইড (সামুদ্রিক শৈবাল), ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া, ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস ইত্যাদি চিহ্নিত করা হয়। পরবর্তীতে এ সব প্রজাতির ওপর প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি টেস্ট নেদারল্যান্ডসে সম্পন্ন করা হয়।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ২৮ হাজার কোটি টাকার সিউইড শিল্পের বাজার রয়েছে। এর মধ্যে পোল্ট্রি শিল্পখাতে ১০ হাজার কোটি ও ফিশ ফিডিং শিল্পে ৫ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। সমুদ্র থেকে সিউইড উৎপাদন সম্ভব হলে এই খাতের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের এই খাতে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিডি-প্রতিদিনসুত্রঃ