শীতের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জন মারা গেছেন। এছাড়া দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের বার্ন ইউনিটসহ অন্যান্য ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৪ জন রোগী।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, বার্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দিনাজপুরের ফুলবাড়ির ৮৫ বছরের তারামনি রায় ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার আশা রানী (৪৫) চিকিৎসাধিন ছিলেন। তারা দু’জনেই শীত নিবারণ করতে গিয়ে খরকুটোর আগুনে দগ্ধ হয়েছিলেন। শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাদেরকে বাঁচানো যায়নি। গত সোম ও মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তাদের।
বুধবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরের কৃষক নুর মোহাম্মদের ছেলে সাত বছরের সাজ্জাদ পোড়া শরীর নিয়ে বার্ন ইউনিটে ছটফট করছে। ৩০ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে বন্ধুদের সাথে খরকুটোর আগুন তাপাতে গিয়ে দগ্ধ হয় সে। মা সুমি আখতার অবুঝ সন্তানকে নিয়ে দুঃসহ দিন পার করছেন। সাজ্জাদের মত দগ্ধ আরো কয়েকজন শিশুই আছে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহিন শাহ জানান, শীত নিবারণে আগুন পোহাতে গিয়ে ঘটছে এমন দুর্ঘটনা। দগ্ধদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত শনিবার থেকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৪ জন। এদের মধ্যে দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হাসপাতালের ১৪ শয্যার বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে দগ্ধ রাগেীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ জনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন রোগীদের বেশিরভাগের শরীরের নিচের অংশ ৩০ থেকে ৬০ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে গেছে।
সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন