বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে মিথেন হাইড্রেটের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ধারণা করা হচ্ছে পানির নিচে ১৭ থেকে ১০৩ টিসিএফ হাইড্রেট রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মন্ত্রণালয়ের সমুদ্রসীমা অনুবিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অনুসন্ধানে মিথেন হাইড্রেটের সন্ধান মিলেছে।
মিথেন হাইড্রেট হচ্ছে চার অনু মিথেন এবং ২৩ অনু পানির সংমিশ্রণ, যা সাধারণত স্বচ্ছ বরফ আকারে থাকে। সাগরের পানির নিচে নির্দিষ্ট গভীরতা এবং চাপে জমাট আকারে এটি অবস্থান করে। সাগরের অগভীর ও গভীর উভয় অঞ্চলের পাওয়া যেতে পারে। মরু অঞ্চলের বরফের নিচে বড় আকারের মিথেন হাইড্রেটের মজুদ রয়েছে। মিথেন হাইড্রেট থেকে কীভাবে গ্যাস তোলা সম্ভব এমন কোনো প্রযুক্তি এখনও আবিষ্কার হয়নি। তবে একে ভবিষ্যতের জ্বালানি বলা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, এক হাজার বিলিয়ন টন পরিমাণ গ্যাস হাইড্রেট সমুদ্রের গভীরে অথবা মেরু অঞ্চলের বরফের নিচে সঞ্চিত আছে, যা পৃথিবীতে বর্তমানে আবিষ্কৃত মোট জীবাশ্ম জ্বালানির চেয়েও এর পরিমাণ বেশি। পরিমাণের সঙ্গে এই পরিমাণের তুলনা করা যায়। তাপ ও চাপ পরিবর্তন করলে এক ঘন মিটার গ্যাস হাইড্রেটে ১৬০ ঘনমিটার মিথেন গ্যাস পাওয়া যেতে পার। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, চীন, ভারত, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ সম্ভাবনাময় গ্যাস হাইড্রেট নিয়ে নানামুখী গবেষণা চালাচ্ছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ভূতাত্ত্বিক অধ্যাপক বদরুল ইমাম সমকালকে বলেন, মিথেন হাইড্রেট পাওয়া কোনো বড় ঘটনা নয়। এটি সাগর মহাসাগরের তলদেশে পাওয়া যায়। ভারতেও প্রচুর মিথেন হাইড্রেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই গ্যাস হাইড্রেট থেকে গ্যাস উত্তোলনের প্রযুক্তি এখনও সহজলভ্য নয়। বিভিন্ন দেশ গবেষণা চালাচ্ছে।
পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা বলেন, শুধু গ্যাস হাইড্রেট নিয়ে আমরা কোনো পৃথক অনুসন্ধান চালাইনি। বিভিন্ন সার্ভে ও অনুসন্ধানের সময় এর অস্তিত্ব মিলেছে।
সূত্র: সমকাল