সম্প্রতি তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান এমপির বিরুদ্ধে এবার মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে মুরাদ হাসানের নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আতশবাজি জ্বালিয়ে উৎসব করছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার অনুসারীরা। ভোরের দিকে পুলিশ উৎসবকারীদের মধ্য থেকে তিন মামলার এক আসামিসহ দুজনকে আটক করলে উৎসবকারীরা তাঁদের ছিনিয়ে নিতে তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলা চালান বলে জানানো হয়েছে। এতে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
এলাকাবাসী বলছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজন বৃহস্পতিবার রাতভর ওই আতশবাজির উৎসব করে। পরে ভোরের দিকে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়। তবে রফিকুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এলাকায় কিছু ঘটলেই কি আমার লোক? আমার লোক পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে আক্রমণ করবে, আর তা আমি জানব না? আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম।’
পুলিশ জানিয়েছে, ইটপাটকেল নিক্ষেপে তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফসহ অন্তত ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। ওই হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুলের বিরুদ্ধে তাত্ক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল বের করেন মুরাদ হাসানের কর্মী ও সমর্থকরা।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা জানান, দলের নাম ভাঙিয়ে কোনো অপরাধ করার সুযোগ নেই। দল পর্যবেক্ষণ করছে বিষয়টি। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘একাধিক মামলার আসামি মুর্শেদের নেতৃত্বে ৬০ থেকে ৭০ জন লোক সকাল থেকে কারখানা এলাকায় দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। মুর্শেদকে আটক করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ আহত হই। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন