জুবিন নটিওয়াল। বলিউড মাতাচ্ছেন তিনি। প্লেব্যাকে এখন জুবিন ছাড়া কথাই বলছেন না ভারতের সিনেমা নির্মাতারা। সেই জুবিন এবার জানালেন, তার এই সাফল্যের নেপথ্য নায়ক আর কেউ নয়; ভারতের সুর সম্রাট এআর রহমান।
২০০৮ সালে একটি রিয়েলিটি শোতে সুযোগ পেয়েছিলেন জুবিন। শোর একটি পর্বে অতিথি বিচারক হিসেবে সেখানে একবার হাজির হয়েছিলেন এআর রহমান। জুবিন তখন ১৮ বছর বয়সি টগবগে যুবক। অস্কারজয়ী সুরকারের সামনেই পারফর্ম করেন জুবিন।
জুবিনের কণ্ঠের প্রশংসা করেন এআর রহমান। তবে কয়েকটি উপদেশ দেন তিনি। আর সুর সম্রাটের সেসব উপদেশ পালনেই নাকি আজ সাফল্যের স্বর্ণশিখরে উঠেছেন জুবিন। ২০০৮ সালে ‘চেন্নাইয়ের মোৎজার্ট’-এর সেই ঘটনা স্মৃতি রোমন্থন করে জুবিন নটিয়াল বলেন, এআর রহমানের বলা একটি কথা আমার জীবন বদলে দিয়েছে।
‘কবীর সিং’ ছবিখ্যাত এই গায়ক বলেন, ‘স্টেজে আমার পারফরম শেষে সুযোগ খুঁজছিলাম কীভাবে এআর রহমানের সঙ্গে দেখা করব। কোনোরকমে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য ছুটেছিলাম। শেষপর্যন্ত দেখা হয়, কথা হয়। তখন আমার গাওয়া গানের প্রশংসা করেন এআর রহমান। এরপর উপদেশ দেন, তোমার গলার স্বর অন্যদের থেকে বেশ আলাদা। তবে ধৈর্য ধরতে হবে। আরও একটু বয়স বাড়ুক তোমার, গলা আরও একটু ভারি হোক। সুতরাং আরও ২-৩ বছর অপেক্ষা কর।’
জুবিন জানান, ‘এআর রহমানের ওই উপদেশ মেনে আর কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ না নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। গভীর মনোযোগ দিয়ে অনুশীলন করতে থাকেন বিভিন্ন ঘরানার গান।’
এর বছর তিনেক বাদে এক সংগীত অনুষ্ঠানে মঞ্চে মোহাম্মদ রফির গান নিজের গলার স্বরে নিজেই চমকে উঠেছিলেন জুবিন। জুবিন বলেন, ‘স্পষ্ট বুঝেছিলাম গলার স্বর বদলে গেছে আমার। ভারি হয়েছে। বুঝেছিলাম সময় চলে এসেছে। বাড়ি এসে পরিবারকে জানিয়েছিলাম। এরপর সোজা মুম্বাই পাড়ি জমাই।’
এরপর বাকিটা সংগীতপ্রেমীদের জানা। বলিউড সিনেমার বেশ কয়েকটি গান এখন সবার মুখে মুখে। ‘দ্য হামমা সাং’, ‘লোক সফর’, ‘হামনাভা মেরে’, ‘সামান্দার মে’, ‘মেরি আশিকি’, ‘চিঠি’, ‘যা হামছে যুদা হো কে’, ‘আখ উটঠি’, ‘দিল কা দারিয়া’র মতো হিট সব গান উপহার দিয়েছেন জুবিন।
সূত্র: আমাদের সময়.কম