বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এই সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যেই বেশকিছু সুপারিশ করেছে।সরকারের পক্ষ থেকেও এই সংক্রমণ ঠেকাতে শিগগিরই বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা বলা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে কিনা- সে বিষয় আলোচনায় আসে।এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার এক বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত আসে, এখনই বন্ধ হচ্ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এভাবে আরও এক সপ্তাহ দেখা হবে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নাকি বন্ধ থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কমিটির একাধিক সদস্যের উপস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় কমিটি।
সভায় করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ সহিদুল্লাহ রোববার রাতে যুগান্তরকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে সীমিত আকারে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম (পাঠদান) চলছে। স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেভাবে চলবে। আমরা খুব স্বল্প পরিসরে বিরতি দিয়ে নিজেরা বসে আলাপ-আলোচনা করে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেব। কারণ স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলে তার একটা খারাপ প্রভাব পরবে। আবার চালু রেখে যদি সংক্রমণ বেড়ে যায়, সেখানেও সমস্যা হবে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এখন আমাদের সংক্রমণ হার ৬ শতাংশের উপরে রয়েছে। সেহেতু সবকিছু বিবেচনায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।দেশে এখন যে টিকা কার্যক্রম চলছে, এটা চলমান থাকবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনগণকে আরও উদ্বুদ্ধ ও সচেতন করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য এবং করোনা নিয়ন্ত্রণে পরামর্শক কমিটির আরেক সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, এখনই বন্ধ হচ্ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আরও এক সপ্তাহ দেখা হবে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিধিনিষেধ জারি হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনা অনেক হয়েছে। বিধিনিষেধ আসলে তো জানতেই পারবেন।
সূত্র: যুগান্তর