আবুধাবি গ্রাঁ প্রি-তে প্রতি বছর চলচ্চিত্র তারকা এবং ক্রীড়াবিদ-সহ খ্যাতনামা ব্যক্তিদের নিয়ে শহর থেকে প্রায় ৩০ মিনিট দূরে ইয়াস দ্বীপে পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
গত মাসে আমন্ত্রিত এ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তালিকাতে নাম ছিল ম্যাকডোনাল্ডের এক সাবেক কর্মীর।
অবাক হচ্ছেন? একজন সাবেক বার্গার প্রস্তুতকারক এবং সফটওয়্যার ডেভেলপার কী করে জায়গা করে নেন এ তালিকায়? অবাক হবেন না। সাবেক এ বার্গার প্রস্তুতকারক রাতারাতি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। সেই কারণেই খ্যাতনামাদের তালিকায় নাম উঠেছে তার।
ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় অন্যতম অগ্রপথিক হিসেবে পরিগণিত এ মানুষটির নাম চ্যাংপেং ঝাও। ক্রিপ্টোর দৌলতেই আজ তার এ অবস্থান। এ মুহূর্তে চ্যাংপেং ঝাও’র মোট সম্পত্তির পরিমাণ এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির চেয়েও বেশি।
ক্রিপ্টো নিয়ে কাজ করা মানুষদের কাছে চ্যাংপেং ঝাও পরিচিত ‘সিজেড’ নামেই। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন সিজেড।
আবুধাবিতে যেসব ধনী ব্যক্তি বিনান্স এক্সচেঞ্জ দেশে আনতে আগ্রহী, তাদের পরামর্শ দেওয়ার কাজ করেন তিনি। নিজের কদর বোঝাতে তিনি দুবাইয়ে একটি বাসভবন তৈরি করেছেন, যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বহুতল বুর্জ খলিফার কাছে অবস্থিত।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, তার মোট সম্পদ ৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭ লাখ ১০ হাজার কোটি রূপি (৯৬ বিলিয়ন ডলার)। এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ভারতীয় মুকেশ আম্বানিকে টপকানোর পাশাপাশি মার্ক জাকারবার্গ এবং গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিনসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রযুক্তিবিদদের ঘাড়েও নিঃশ্বাস ফেলছেন চ্যাংপেং।
অন্যদিকে, ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারর্স ইনডেক্স জানায়, সম্প্রতি মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ ৯২.৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার ও ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস।