বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত প্রযুক্তিগুলোর অন্যতম হলো ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর)। এটি এমন এক প্রযুক্তি যেখানে শুধু কল্পনা বা চেতনা থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। এবার এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই গরুর দুধ উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তুরস্কের এক খামারি।
তার দাবি, ভিআর প্রযুক্তির গগলস (রঙিন চশমা) পরালে গরুরা ভাবে, তারা গ্রীষ্মের সবুজ চারণভূমির মধ্যে অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে কোনো উদ্বেগ থাকছে না; ফলে অধিক পরিমাণ দুধ উৎপাদন করতে পারছে।
তুরস্কের আকসারায়ে ইজেট কোকাক ও তার পরিবার গত তিন প্রজন্ম যাবত গবাদি পশুপালনের সঙ্গে জড়িত। ব্যবসা ধরে রাখতে তারা সবসময়ই সর্বোচ্চটা দিয়েছেন। ভবিষ্যত প্রজন্মও যেন এ ব্যবসা ধরে রাখতে সক্ষম হয়, সেজন্য তারা কোনো খামতি রাখতে চান না। আর তাই শেষ পর্যন্ত অভিনব এ প্রযুক্তির শরণাপন্ন হলেন ইজেট। এর আগে গরুগুলোকে ‘রিল্যাক্সড’ অনুভব করাতে তিনি ধীর লয়ের সংগীতের ব্যবহার করেছিলেন।
এবার গরুদের ভিআর প্রযুক্তির গগলস পরালেন। এর ফলে প্রাণীগুলো বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, তারা অন্ধকার, বিষণ্ণ, ইনডোরের পরিবর্তে একটি খোলামেলা রৌদ্রোজ্জ্বল চারণভূমিতে বিচরণ করছে।
তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদুলৌকে ইজেট বলেছেন, ‘গরুগুলো সাধারণত প্রতিদিন ২২ লিটার করে দুধ দেয়। আমরা আমাদের দুটি গরুকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির গগলস পরিয়েছিলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম, এখন আমরা ২৭ লিটার দুধ পাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে এই প্রযুক্তির গগলস পশুদের মনস্তত্ত্বের জন্য উপকারী। আমরা দেখেছি, এটা পরানোর পর তারা অনেক হালকা বোধ করতে থাকে, তাদের উদ্বিগ্নতা কমে যায়। এটি দুধের ফলন এবং গুণগত মান দুটির ওপরেই প্রভাব ফেলেছে।’
রাশিয়াতে গরুদের ভিআর প্রযুক্তির গগলস পরানো হচ্ছে- এক প্রতিবেদনে এমনটি দেখে ইজেক অত্যন্ত অনুপ্রাণিত বোধ করেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই গরুদের জন্য ভিআর গগলস নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং কয়েক জোড়া অর্ডার দিয়ে ফেলেন।
সূত্র : অডিটি সেন্ট্রাল, টিবিএস নিউজ