ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহিঃসীমান্তরক্ষী বাহিনী ফ্রনটেক্স জানিয়েছে, গতবছর অবৈধ উপায়ে ইউরোপের সীমান্তে প্রায় দুই লাখ পারাপারের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালের পর গত বছর সবচেয়ে বেশি মানুষ অবৈধ উপায়ে ইউরোপের সীমান্তে প্রবেশ করেছেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় সীমান্তে এ ধরনের পারাপার বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। আর ২০২০ সালের তুলনায় এই বৃদ্ধি ৫৭ শতাংশ। সে বছর করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে সীমান্ত পারাপার ব্যাপক হারে কমে গিয়েছিল।
২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে মধ্য-ভূমধ্যসাগর ও বলকান রুট দিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী প্রবেশ করেছেন। ৬৫ হাজার ৩৬২ বা এক তৃতীয়াংশ অভিবাসী এসেছেন ইতালি ও মাল্টা থেকে। পশ্চিম বলকান হয়ে সীমান্ত পারাপারের ঘটনা ছিল ৬০ হাজার যা তার আগের বছরের ১২৫ শতাংশ বেশি।
প্রচলিত এসব সীমান্তের বাইরে গত বছর নতুন করে বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসী সংকট তৈরি হয়। দেশটি থেকে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়াসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে বেলারুশ থেকে প্রায় আট হাজার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এটি ২০২০ সালের তুলনায় দশগুণ বেশি। সেখানে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য বেলারুশের লুকাশেঙ্কো সরকারকে দায়ী করে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
২০২১ সালে অনুমতি ছাড়া যারা সীমান্তে প্রবেশ করেছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় ছিলেন সিরিয়ার মানুষ। এরপরই রয়েছে তিউনিশিয়ান, মরোক্কান, আলজেরিয়ান ও আফগানরা। ফ্রনটেক্স বিবৃতিতে বলেছে, ২০২১ সালে আসা প্রতি দশজনের একজন ছিলেন নারী। সূত্র : আনাদোলু নিউজ
সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন