তালেবান আফগানিস্তান দখলের পর কাজ হারিয়েছেন একের পর এক আফগান নাগরিক। ধুঁকছে অর্থনীতি। রোজকার খাবারটুকুও জুটছে না। এমনই এক পরিবারের কথা জানা যাক।
নাগরিকদের দুর্দশা
সৈয়দ ইয়াসিন মোসাভি। বছর একত্রিশের এই কুলি জানান, তালেবান অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি কর্মহীন। তার কথায়, ‘শীতকালে যা প্রয়োজন তা দোকান থেকে আগে ধার করতাম, দু-তিন মাসের মধ্যে শোধ দিতাম।’ জিনিসের দাম এত বেড়েছে, এ বছর ভয়াবহ পরিস্থিতি, জানান ইয়াসিন।
তালেবানের বক্তব্য
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এই সমস্যাগুলো কমাতে চাই।’
সঙ্কটে আফগান মুলুক
২০ বছরের মধ্যে আফগানিস্তানে এমন সঙ্কট দেখা যায়নি। জাতিসঙ্ঘের অনুমান, প্রায় ২.৩ কোটি আফগান চরম ক্ষুধায় ভুগছে এবং প্রায় ৯০ লাখ আফগান দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে।
ভয়াবহ পরিস্থিতি
আফগান নাগরিকদের ৫৫ শতাংশ দ্রুত চরম ক্ষুধায় ভুগতে পারে। কুবরার পরিবারও তেমনই। তিনি বলেন, ‘আমরা গত বছরে দুই বস্তা আটা পেয়েছি যা এখনো ব্যবহার করছি। এর পরে, আল্লাহ সাহায্য করবেন, এমনটাই ভাবছি।’ তিনি রয়টার্সকে জানান, ফেলে দেয়া ধাতুর টুকরো সংগ্রহ করত তার ছেলে, এখন সে কর্মহীন।
বিপদ ঠাণ্ডাতেও
খাদ্য সরবরাহ কম। এছাড়াও আফগানিস্তানে তীব্র ঠাণ্ডা। শীতে বামিয়ানের তাপমাত্রা দ্রুত হিমাঙ্কের নীচে নেমে যায়। এদিকে বেশিরভাগের মাথায় ত্রিপল ছাড়া কিছুই নেই। জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করাও তাই খাবার জোগাড়ের মতোই জরুরি।
সূত্র : ডয়চে ভেলে