ফরিদপুরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আয়া দিয়ে প্রসূতির সিজারের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নবজাতকের কপাল কেটে ফেলা হয়েছে। আশঙ্কজনক অবস্থায় ওই নবজাতককে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। পরে ওই প্রাইভেট ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে ক্লিনিকটি।
জানা গেছে, শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় অবস্থিত আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শনিবার সকালে সিজারের জন্য ভর্তি হন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ এলাকার রুপা বেগম। সকাল ৮টায় প্রসূতিকে সিজার করান হাসপাতালের আয়া চায়না রহমান। সিজারের সময় নবজাতকের কপাল ও চোখের একটি অংশ কেটে ফেলা হয়। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয় নবজাতকের। পরে তার কপালে নয়টি সেলাই দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশের একটি দল। এ সময় চায়না রহমান নামের সেই আয়া ও ক্লিনিকের মালিক পলাশ মোল্যাসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
পরে ঘটনাস্থলে হাজির হন সিভিল সার্জনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ক্লিনিক চালানোর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা এবং আয়াকে দিয়ে সিজার করানোর অপরাধে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
সদর সার্কেলের এএসপি সুমন রঞ্জন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন