জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে রাবার স্ট্যাম্প বানিয়েছে। ১৯৯১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে প্রথমে ভোটার বিহীন নির্বাচন, পরে খুনোখুনির নির্বাচন- এখন ফলাফল পরিবর্তনের নির্বাচন কায়েম করেছে। মানুষ ভোট দেয় একজনকে, ফলাফলে ঘোষণা হয় অন্যজনের নাম।’
আজ শনিবার জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কয়েকজন আইনজীবীর দলে যোগদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, জহিরুল আলম রুবেল, মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সাধারণ মানুষ প্রতিনিধি নির্বাচন করতে না পারলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না জানিয়ে জিএম কাদের আরো বলেন, রাবার স্ট্যাম্প নির্বাচন কমিশন হলে কেউ আর নির্বাচনে যাবে না, রাজনৈকি দল থাকবে না, দেশে রাজনীতিও থাকবে না। নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা তলানিতে পৌঁছেছে। চলমান নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে একদল, আবার নৌকার সমর্থকরাই নৌকা ডুবিয়ে দিচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ পদত্যাগ করার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বে দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর গণতন্ত্র নিপাত গেছে। একটি দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে- পরবর্তীতে অন্যদলটি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে পরপর চারবার দেশকে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে। আবার একটি দল বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে, অন্যদলটি বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডে দেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে। একটি দল ভোট ডাকাতি শুরু করেছে, অন্যদল ক্ষমতায় এসে নির্বাচন কমিশনকে রাবার স্ট্যাম্প বানিয়েছে।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জনগণ সংবিধান সংশোধন করে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পরিবর্তন করে গণতন্ত্রে পৌঁছতে চায়।
সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন