গাজীপুরের শ্রীপুরে কাওরাইদ বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে কাওরাইদ বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তির নাম বিপ্লব (৪৫)। তিনি কাওরাইদ গ্রামের মৃত নারায়ন পাগলা’র ছেলে। তিনি এজাহার নামীয় মামলার তিন নম্বর আসামি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সন্ধ্যায় কাওরাইদ বাজার এলাকা থেকে বিপ্লবকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কাওরাইদ কেএন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা খাইরুলের ছেলে অনুভবের (২০) সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা নয়নের অনুসারীদের ঝগড়া হয়। পরে নয়নের অনুসারীরা অনুভবের বিরুদ্ধে নয়নের কাছে অভিযোগ জানায়। নয়ন উভয়পক্ষকে ডেকে অনুভবকে একটা থাপ্পড় দিয়ে মীমাংসা করে।
থাপ্পড় দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে যুবলীগ নেতা খাইরুল মীর নয়নকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে ডেকে পাঠান। সেখানে আগে থেকেই খাইরুল মীরের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নয়নকে আটকে রাখার খবর পেয়ে নয়নের বড় ভাই মানিক আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে নয়নকে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। কিছু সময় পর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পেছনে পুকুর থেকে নয়নের মরদেহ উদ্ধার করেন তারা।
গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন বলেন, নয়ন ছাত্রলীগের ত্যাগী একজন নেতা ছিল। পরিশ্রমী ও নিবেদিত প্রাণ ছিল ছাত্রলীগের জন্য। তার অকাল মৃত্যুতে ছাত্রলীগ গভীরভাবে শোকাহত। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের কঠিন শাস্তির দাবি জানান।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রতন মিয়া বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন