নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। টানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
তবে শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে। অনেকে ফজরের নামাজ পড়ে ভোটকেন্দ্রে চলে এসেছেন। ভোট দিয়ে অফিস ধরতেই অনেকে ভোরে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, কেন্দ্রগুলোতে পুরুষদের পাশাপাশি নারী ভোটারদেরও ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। তারা জানিয়েছেন, ভিড় ও ঝামেলা এড়াতে ভোরে ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে এসেছেন তারা। এছাড়া তাদের ঘরের কাজও সামলাতে হবে। এজন্য সকাল সকাল ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে চান।
এ নির্বাচন ঘিরে উৎসবের আমেজ নগরজুড়েই। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দুই প্রার্থীর প্রতীক নৌকা ও হাতি।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে, নাকি পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে আসা তৈমূর আলম খন্দকারকে বেছে নেবেন ভোটাররা- তা জানতে এখন কেবল একটু অপেক্ষা। তবে আগামী নগরপিতা যিনিই হোন না কেন, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথাই বলছেন নগরবাসী।
পুলিশের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের জন্য কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন-ইসি সচিবালয়ের তথ্যানুযায়ী, এবার পুরো সিটিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। শনিবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ইভিএমসহ নির্বাচনী মালামাল। নির্বাচনে ভোট দেবেন সোয়া ৫ লাখ ভোটার। মেয়র পদে সাতজন; সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ ও কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন প্রার্থী রয়েছেন এ নির্বাচনে।
মেয়র পদে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) এবং দলীয় পদ থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফত মজলিশ প্রার্থী এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), মো. কামরুল ইসলাম-স্বতন্ত্র (ঘোড়া), মো. জসীম উদ্দিন-বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বট গাছ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ সিটিতে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৯২টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৩৩টি, ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ ও মহিলা ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১।
সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন