বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে হাতি মার্কার লোকজন ও সমর্থকদের তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। হাতি মার্কার প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “বন্দরের সোনাকান্দায় যুবদল নেতা মনোয়ার হোসেন শোখনকে পুলিশ নিয়ে গেছে। সে ওই কেন্দ্রের বাইরে নিরাপদ দূরত্বে থেকেই হাতি মার্কার জন্য ভোট চাচ্ছিল ও ভোটাদের উৎসাহিত করছিল। শোখনকে নিয়ে গেলেও নৌকার লোকজনদের কোনও ডিস্টার্ব করা হচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “হাজীগঞ্জে আইটি স্কুলের সামনে থেকে হাতির ব্যাচ পড়া জামাল ও শাহ আলমকে নিয়ে গেছে পুলিশ। সেখানে নৌকার লোকজন প্রভাব বিস্তার করছে। সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউজ কেন্দ্রে হাতির এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। শহরের মর্গ্যান ও শিশুবাগ স্কুলে হাতির লোকজনদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রায় বেশিরভাগ কেন্দ্রে এ সমস্যা হচ্ছে। কোনও ভোট কেন্দ্রের বাইরেই হাতি মার্কার কর্মীদের দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। হাতি মার্কার কর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করতে এমনটা করা হচ্ছে; যা কেউ কোনও কেন্দ্রের কাছে না যায়।”
এদিকে তৈমূর আলম খন্দকার অভিযোগ করেন, “বন্দরে সুফিয়ান নামের একজন ঠিকাদারের নির্দেশে যুবদল নেতা শোখনকে আটকে রেখেছে পুলিশ।
রবিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে মেয়রসহ ৩৭টি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ১৮৯ প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে ৭জন, ২৭টি ওয়ার্ডে ১৪৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৯টি সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। মোট ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন ভোটার ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের ১৩৯৬টি ভোটকক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ জন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলী আহাম্মদ চুনকা কন্যা ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা হাতি প্রতীকের অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
অবশ্য মেয়র পদে আরও পাঁচ প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন