বিশ্বজমিন (৫৬ মিনিট আগে) জানুয়ারি ১৬, ২০২২, রোববার, ৩:৪৫ অপরাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বিজ্ঞানীরা নতুন একটি কোভিড-১৯ এর টিকা আবিষ্কারের দাবি করেছেন। বলেছেন, এই টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শতকরা কমপক্ষে ৯০ ভাগ কার্যকর। তারা আরো বলেছেন, কর্বিভ্যাক্স নামের এই টিকা হবে অপেক্ষাকৃত সস্তা। প্রস্তুত করা যাবে সহজে। এ ছাড়া এই টিকার কোনো প্যাটেন্ট তারা নিজেদের কাছে আটকে রাখবেন না। অর্থাৎ যেকেউ চাইলেই তাদেরকে প্যাটেন্ট দেয়া হবে। তাতে বিশ্বের যেকোনো স্থানে তা উৎপাদন করা যাবে। বেলর কলেজ অব মেডিসিনের টেক্সাস চিলড্রেন হাসপাতাল সেন্টার ফর ভ্যাক্সিন ডেভেলপমেন্টের ড. পিটার হোটেজ এবং ড. মারিয়া বোত্তাজ্জি’র নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী এই টিকাটি তৈরি করেছেন।
তারা ২০১১ সাল থেকে সার্স এবং মার্স-এর টিকা তৈরি করে আসছেন। অবশেষে তারা কোভিডের টিকা তৈরি করছেন। এর নাম দেয়া হয়েছে কর্বিভ্যাক্স। ইংরেজিতে ‘দ্য ওয়ার্ল্ডস কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন’। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন গার্ডিয়ান।
একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরো কমপক্ষে ৬০টি টিকা তৈরির কাজ চলছে। তার মধ্যে কর্বিভ্যাক্স ব্যতিক্রম কেন তা ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানী মারিয়া বোত্তাজ্জি। তিনি বলেন, তাদের আবিষ্কার করা টিকা হবে ব্যতিক্রম। কারণ, তারা এর কোনো প্যাটেন্ট তাদের কাছে ধরে রাখবেন না। এর ফলে যেকেউ এই টিকা তৈরি করতে পারবে। যারা হেপাটাইটিস বি’র টিকা বা মাইক্রোবায়োলজিক্যালভিত্তিক প্রোটিন, যেমন ব্যাকটেরিয়া বা ইস্ট তৈরি করার সক্ষমতা রাখেন, তারাই আমাদের কাজ অনুকরণ করতে পারবেন।
সম্প্রতি এমআরএনএ টিকার প্যাাটেন্ট নিয়ে একরকম লড়াই হয়ে গেছে। সুনির্দিষ্ট এই আবিষ্কারের জন্য কাকে কৃতীত্ব দেয়া যাবে তা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে ছিল মডার্না এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ। যদি দেখা যায়, ফেডারেল সরকারের প্যাটেন্ট লঙ্ঘন করেছে মডার্না তাহলে তাদেরকে কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলার জরিমানা দিতে বাধ্য হতে হবে। একই সময়ে ফাইজার ও মডার্নাকে তাদের প্রযুক্তি শেয়ার করার জোর দাবি উঠেছে। এ বিষয়টি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায়ও উঠেছে। নি¤œ আয়ের দেশগুলোর টিকা নিয়ে গবেষণা এবং উৎপাদন সক্ষমতা নেই। ফলে সেসব দেশে প্রতি ৯ জনের মধ্যে একজনকে এখন পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অন্যদিকে মোট জনগোষ্ঠীর শতকরা ৬৭ ভাগকে পুরোপুরি টিকা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ অবস্থায় কর্বিভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। টেক্সাস চিলড্রেনস হাসপাতাল বলেছে, তাদের টিকা মূল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শতকরা কমপক্ষে ৯০ ভাগ কার্যকর। অন্যদিকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে তা কমপক্ষে ৮০ ভাগ কার্যকর। ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কতটুকু কার্যকর তা বর্তমানে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সূত্র: মানবজমিন