ঢালিউড অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তার স্বামী নোবেল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে রাতে তার স্বামী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে ব্রিজের পাশ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় শিমুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
১৯৯৮ সালে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে বরিশালের মেয়ে রাইমা ইসলাম শিমুর। তার প্রথম সিনেমা কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’। যেখানে এরপর ২৩টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সবশেষ তাকে দেখা গেছে ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জামাই শ্বশুর’ সিনেমায়।
তবে গত কয়েক বছর ধরে শিমু নাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অভিনয় করেছেন প্রায় ৫০টি নাটকে। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত নাটক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’-এও অভিনয় করেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তার নিজের প্রোডাকশন হাউজ ছিল। মাঝে মধ্যে পরিচালনাও করতেন এই নায়িকা।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে বাদ পড়া ১৮৪ জন সদস্যদের একজন ছিলেন শিমু। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলনে তিনি ছিলেন বেশ সক্রিয়। স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে শিমু রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার বাসায় থাকতেন।
সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন