নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার দত্তপাড়া এলাকায় পুলিশের দুই উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হওয়ার ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া সেই আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ওই আসামিকে দিয়ে গাড়ি চালানো হচ্ছিল। এ সুযোগে ওই আসামি গাড়ি খাদে ফেলে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আসামিকে এখনও ধরা যায়নি।
তিনি আরও জানান, আসামির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ইয়াবা পানিতে পড়ে যাওয়ায় কিছু গলে গেছে, বাকিগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আহত হয়েছেন। তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতরা হলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মুনসুরাবাদ গ্রামের কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও গোপালগঞ্জের চরভাটপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এসএম শরীফুল ইসলাম। তারা সোনারগাঁও থানায় কর্তরত ছিলেন।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, সোনারগাঁওয়ের মেঘনা টোলপ্লাজায় তল্লাশি চৌকিতে একটি গাড়িকে থামার জন্য সংকেত দেওয়ার পর সেটি এক কনস্টেবলকে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে আলমগীর হোসেনকে গাড়িসহ ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এ সময় তার কাছ থেকে ৪২ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এরপর আলমগীরকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয়। এ সময় সে গাড়ি চালিয়েছে। এসপি অফিসে সংবাদ সম্মেলনের পর তাকে নিয়ে এবার থানায় যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেন দুই এসআই ও এক এএসআই। তবে তাদের তিনজনের কেউই গাড়ি চালাতে পারতেন না। ফলে তারা আসামিকে গাড়ি চালানোর দায়িত্ব দেন। এ সুযোগে সোনারগাঁওয়ের দত্তপাড়া এলাকায় গাড়ি থেকে কৌশলে লাফ দিয়ে তা খাদে ফেলে দিয়ে চালক পালিয়ে যায়। এতে দুই এসআই নিহত হন ও গুরুতর আহত হন এক এএসআই।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং শেষে সোনারগাঁও থানায় কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী সালেহ আহম্মেদ, শরিফুল ইসলাম ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রফিকুল ইসলাম প্রাইভেটকার যোগে থানায় ফিরছিলেন। পথে সোনারগাঁওয়ের দত্তপাড়া এলাকায় তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি খাদে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও শরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন