প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে চলছে টিকাকরণ। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ দুটি টিকা দেওয়ার পর প্রাপ্ত বয়স্কদের বুস্টার ডোজও দেওয়া শুরু করেছে। শুধুই কয়েকটি দেশে শিশুদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এমতাবস্থায় শিশু, কিশোর ও তরুণদের করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার পক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন। মঙ্গলবার তিনি এই মন্তব্য করেন।
সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, “এখন এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই, যার জন্য স্বাস্থ্যবান শিশু, কিশোর ও তরুণদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন থাকতে পারে।”
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টিকা দেওয়ার পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেহেতু কমে আসে এবং দ্রুত গতিতে বিস্তার ঘটছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের, তাই কোন বয়সী মানুষের বুস্টার ডোজ প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে আরো গবেষণার প্রয়োজন।”
এদিকে, ইসরায়েলে ১২ বছর বয়সী শিশুদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে। এ মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) সেখানকার ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের ফাইজার/বায়োএনটেকের বুস্টার ডোজ অনুমোদন দিয়েছে। গত সপ্তাহে জার্মানিও প্রায় একই রকম কাজ করে। তারা ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী সবাইকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার সুপারিশ করেছে। হাঙ্গেরিও একই কাজ করেছে।
সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, কিভাবে দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার মধ্যে বুস্টার ডোজ বিতরণ করবে সে বিষয়ক সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন নিয়ে এ সপ্তাহের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ বিশেষজ্ঞরা মিটিংয়ে বসছেন।
তিনি বলেন, এর লক্ষ্য হলো সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষা দেয়া। যারা ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদেরকে সুরক্ষা দেয়া। এর মধ্যে রয়েছেন আমাদের প্রবীণ জনগোষ্ঠী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম এমন সব মানুষ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/কালাম