ফেসবুক লাইভে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলয়া অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার মামলায় সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। গত ২৩ নভেম্বর এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেন আদালত। কিন্তু আজ সাক্ষী না আসায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামস জগলুল হোসেন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ জুলাই দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
মামলার আবেদনে বলা হয়, আসামি সেফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা অনলাইনে একাধিকবার বিভিন্নভাবে ভিডিও আপলোড করেছেন, যা ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন। এ কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারার অপরাধের শামিল। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতের বরাবর প্রতিবেদন পাঠানো হলো।
এর আগে, গত বছরের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এরপর মামলার অভিযোগ তদন্ত শেষ করে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থপ্রতিম ব্রহ্মচারী সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিবেদন দাখিল করেন। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে অস্ট্রিয়া প্রবাসী এ বাংলাদেশির গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। ১৯৯০ সাল থেকে তিনি অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় বসবাস করছেন।
সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন