ইউক্রেনে দ্রুত হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশটির দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে ইউক্রেনের বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমেরিকান নাগরিকদের সফর না করার উপদেশ দিয়েছে কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস।
বিগত কয়েকমাস ধরেই পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটের প্রভাব বিস্তার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে রাশিয়া। সম্প্রতি আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক গোষ্ঠীটিতে কিয়েভের যোগ দেওয়ার জল্পনার পর থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে দ্রুত সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে মিলেছে আসন্ন যুদ্ধের ইঙ্গিত। এমন পরিস্থিতিতে কিয়েভের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেন ও কানাডা।
রুশ বাহিনীকে রুখতে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের হাতে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল তুলে দিয়েছে ব্রিটেন। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের সেনাকে মদত দিতে বিশেষ কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়েছে কানাডা। এমন ডামাডোলে রবিবার (২৩ জানুয়ারী) মার্কিন বিদেশ দপ্তর জানিয়েছে, রাশিয়ান সেনার হামলার আশঙ্কায় কিয়েভের দূতাবাসে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে। শুধুমাত্র অত্যন্ত জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাই সেখানে থাকবেন।
এদিকে, দূতাবাস থেকে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনার পাশাপাশি ইউক্রেন ও রাশিয়ায় নাগরিকদের ভ্রমণ না করার সতর্কবার্তাও দিয়েছে আমেরিকা। মনে করা হচ্ছে, রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় দেশটিতে উত্তেজনা ও অশান্তি দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ইউক্রেনে সফররত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
উল্লেখ্য, ন্যাটো গোষ্ঠীতে ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। এর অন্যথা হলে সামরিক পদক্ষেপ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে মস্কো। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পৌঁছেছে ৩০ জনের ব্রিটিশ কমান্ডো বাহিনী। একইসঙ্গে প্রায় ২ হাজার ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী হাতিয়ার ও পাঠিয়েছে লন্ডন। ভবিষ্যতে আরও হাতিয়ার পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস।
সূত্র: বিডি-প্রতিদিন