বিশ্বজমিন (১৮ মিনিট আগে) জানুয়ারি ২৬, ২০২২, বুধবার, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন চালালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় তাহলে বিশ্বকে তার জন্য চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। আগ্রাসন চালালে রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে পশ্চিমা নেতারা যখন বার বার এমন সতর্কতা দিচ্ছেন, তখন বাইডেন নতুন করে এ হুঁশিয়ারি দিলেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশগুলো উত্তেজনা উস্কে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া।
তারা একই সঙ্গে ইউক্রেনে অনুপ্রবেশের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে। তবে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছেন পুতিন। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, আগ্রাসন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন কিনা। জবাবে বাইডেন বলেন- ‘হ্যাঁ’।
তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার এমন আগ্রাসন বিশ্বজুড়ে বড় রকমের পরিণতি ডেকে আনবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এই আগ্রাসন হতে পারে সবচেয়ে বড়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এ জন্য ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে ন্যাটোর উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে বাধ্য তিনি। তার ভাষায়, আমাদেরকে পরিষ্কার করে বলতে হবে যে, কাউকে, ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশকে কোনো কারণে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তাদের প্রতিরক্ষায় পাশে দাঁড়াবে ন্যাটো। তবে ইউক্রেনে মার্কিন সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
পক্ষান্তরে এমন প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে অস্ত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সয়লাব করে ফেলছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার স্থায়ী মিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়া উপকূলের কাছে আমেরিকান ফ্লিট কি করছে তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
তবে আলাদাভাবে বাইডেন প্রশাসন বলেছে, তারা ইউরোপে শিপমেন্ট বৃদ্ধি করতে এবং বিশ্বজুড়ে তেল ও গ্যাস সরবরাহে কাজ করছে। যদি রাশিয়া ইউরোপে তেল ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, সে বিষয়ে আগে থেকেই তারা কাজ করছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে বর্তমানে প্রায় এক তৃতীয়াংশ অশোধিত তেল ও গ্যাস আমদানি করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
এর আগে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সতর্ক করেছেন রাশিয়াকে। তিনি বলেছেন, রাশিয়া কোনো রকম আগ্রাসন চালালে পশ্চিমা মিত্ররা ভয়াবহ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। ওই অঞ্চলে ন্যাটোর মিত্রদের সুরক্ষিত রাখতে সেনা মোতায়েনে প্রস্তুত আছে বৃটেন। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অর্থ বিনিময় ব্যবস্থা সুইফট থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করার ইস্যুও তুলে ধরেন তিনি। এর ফলে ইউরোপ কোনো পাওনা পরিশোধ করতে পারবে না। পাবে না রাশিয়ান কোনো পণ্য। অন্যদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, মস্কোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। এ নিয়ে তিনি শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন। এতে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রকৃত উদ্দেশ্য কি তা পরিষ্কার হবেন তিনি।
ওদিকে সোমবার পশ্চিমা শক্তিগুলো একমত হয়েছে সঙ্কট সংলাপে। রাশিয়া আগ্রাসন চালালে তার বিরুদ্ধে ‘অনাকাঙ্খিত’ পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা দিতে একমত হয়েছে তারা। এরই মধ্যে পেন্টাগন থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তার ৮৫০০ সেনা সদস্যকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে। প্রয়োজন হলে তা দিয়ে ন্যাটো মিত্রদের সহায়তা করা হতে পারে। জবাবে রাশিয়া বলেছে, এতে বড় রকমের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ক্রেমলিন বলেছে, তারা ন্যাটোকে বড় রকম নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে। তারা নিশ্চয়তা চায় যে, আর পূর্ব দিকে যাতে ন্যাটোর সম্প্রসারণ না হয়। বিশেষ করে ইউক্রেনে।
ওয়াশিংটন এরই মধ্যে রাশিয়ার মিত্র বেলারুশকেও সতর্ক করেছে। বলা হয়েছে, তারা যদি রাশিয়ার আগ্রাসনে কোনো রকম সহযোগিতা করে তাহলে দ্রুত এবং সুচিন্তিত পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে তাদের। ইউক্রেন ইস্যুতে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশটির রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাসের কিছু কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। ইউক্রেন ও রাশিয়ায় ভ্রমণে যেতে স্ব স্ব নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি টিভিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তাতে তিনি দেশবাসীকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। বলেছেন, ভাইরাস থেকে আপনার শরীরকে সুরক্ষিত রাখুন। মিথ্যা থেকে নিজের ব্রেনকে সুরক্ষিত রাখুন। হৃদয়কে আতঙ্কমুক্ত রাখুন। আরো জানিয়েছেন, তিনি ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়ার নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করার জন্য কাজ করছেন।আগ্রাসন চালালে পুতিনের বিরুদ্ধে বাইডেন নিজেই নিষেধাজ্ঞা দেবেন
মানবজমিন ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসন চালালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় তাহলে বিশ্বকে তার জন্য চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। আগ্রাসন চালালে রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে পশ্চিমা নেতারা যখন বার বার এমন সতর্কতা দিচ্ছেন, তখন বাইডেন নতুন করে এ হুঁশিয়ারি দিলেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশগুলো উত্তেজনা উস্কে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। তারা একই সঙ্গে ইউক্রেনে অনুপ্রবেশের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে। তবে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছেন পুতিন।
এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, আগ্রাসন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন কিনা। জবাবে বাইডেন বলেন- ‘হ্যাঁ’। তিনি আরো বলেন, রাশিয়ার এমন আগ্রাসন বিশ্বজুড়ে বড় রকমের পরিণতি ডেকে আনবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এই আগ্রাসন হতে পারে সবচেয়ে বড়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এ জন্য ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে ন্যাটোর উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে বাধ্য তিনি। তার ভাষায়, আমাদেরকে পরিষ্কার করে বলতে হবে যে, কাউকে, ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশকে কোনো কারণে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তাদের প্রতিরক্ষায় পাশে দাঁড়াবে ন্যাটো। তবে ইউক্রেনে মার্কিন সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
পক্ষান্তরে এমন প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে অস্ত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সয়লাব করে ফেলছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার স্থায়ী মিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়া উপকূলের কাছে আমেরিকান ফ্লিট কি করছে তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
তবে আলাদাভাবে বাইডেন প্রশাসন বলেছে, তারা ইউরোপে শিপমেন্ট বৃদ্ধি করতে এবং বিশ্বজুড়ে তেল ও গ্যাস সরবরাহে কাজ করছে। যদি রাশিয়া ইউরোপে তেল ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, সে বিষয়ে আগে থেকেই তারা কাজ করছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে বর্তমানে প্রায় এক তৃতীয়াংশ অশোধিত তেল ও গ্যাস আমদানি করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
এর আগে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সতর্ক করেছেন রাশিয়াকে। তিনি বলেছেন, রাশিয়া কোনো রকম আগ্রাসন চালালে পশ্চিমা মিত্ররা ভয়াবহ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। ওই অঞ্চলে ন্যাটোর মিত্রদের সুরক্ষিত রাখতে সেনা মোতায়েনে প্রস্তুত আছে বৃটেন। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অর্থ বিনিময় ব্যবস্থা সুইফট থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করার ইস্যুও তুলে ধরেন তিনি। এর ফলে ইউরোপ কোনো পাওনা পরিশোধ করতে পারবে না। পাবে না রাশিয়ান কোনো পণ্য। অন্যদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, মস্কোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। এ নিয়ে তিনি শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন। এতে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রকৃত উদ্দেশ্য কি তা পরিষ্কার হবেন তিনি।
ওদিকে সোমবার পশ্চিমা শক্তিগুলো একমত হয়েছে সঙ্কট সংলাপে। রাশিয়া আগ্রাসন চালালে তার বিরুদ্ধে ‘অনাকাঙ্খিত’ পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা দিতে একমত হয়েছে তারা। এরই মধ্যে পেন্টাগন থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তার ৮৫০০ সেনা সদস্যকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে। প্রয়োজন হলে তা দিয়ে ন্যাটো মিত্রদের সহায়তা করা হতে পারে। জবাবে রাশিয়া বলেছে, এতে বড় রকমের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ক্রেমলিন বলেছে, তারা ন্যাটোকে বড় রকম নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে। তারা নিশ্চয়তা চায় যে, আর পূর্ব দিকে যাতে ন্যাটোর সম্প্রসারণ না হয়। বিশেষ করে ইউক্রেনে।
ওয়াশিংটন এরই মধ্যে রাশিয়ার মিত্র বেলারুশকেও সতর্ক করেছে। বলা হয়েছে, তারা যদি রাশিয়ার আগ্রাসনে কোনো রকম সহযোগিতা করে তাহলে দ্রুত এবং সুচিন্তিত পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে তাদের। ইউক্রেন ইস্যুতে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশটির রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাসের কিছু কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। ইউক্রেন ও রাশিয়ায় ভ্রমণে যেতে স্ব স্ব নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি টিভিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তাতে তিনি দেশবাসীকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। বলেছেন, ভাইরাস থেকে আপনার শরীরকে সুরক্ষিত রাখুন। মিথ্যা থেকে নিজের ব্রেনকে সুরক্ষিত রাখুন। হৃদয়কে আতঙ্কমুক্ত রাখুন। আরো জানিয়েছেন, তিনি ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়ার নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করার জন্য কাজ করছেন।
সূত্র: মানবজমিন