খেলা ২৬ জানুয়ারি ২০২২, বুধবার
ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ নাহিদুল ইসলাম। ডান হাতের স্পিন জাদুতে যশখ্যাতি কুড়াচ্ছেন বেশ। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগেও (বিপিএল) দুর্দান্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই বোলার। প্রথম ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ২০ রানে নেন দুই উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে একাই গুড়িয়ে দেন নাহিদ। ৩ উইকেট নিয়ে স্পর্শ করলেন শহীদ আফ্রিদির রেকর্ড।
মঙ্গলবার বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৪ ওভারে ৫ রান দিয়ে নাহিদ ফেরান সৈকত আলী, সাকিব আল হাসান ও ক্রিস গেইলকে। ওভারপ্রতি দিয়েছেন গড়ে ১.২৫ রান।
২৪ বলের মাঝে ডটের সংখ্যা ছিল ১৯। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলেছেন নাহিদ। এর আগে ২০১৫ সালের বিপিএলে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫ রান দিয়েছিলেন সিলেট সুপার স্টারসের আফ্রিদি। তবে উইকেট সংখ্যায় এগিয়ে নাহিদ, আফ্রিদি উইকেট নিয়েছিলেন ২টি।
মঙ্গলবার নাহিদুলকে দিয়ে ইনিংস শুরু করান কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। নাহিদের প্রথম ওভারেই ফেরেন সৈকত আলী। স্লগ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে নাহিদ ফেরান বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব, টাইমিং করতে পারেননি ঠিকঠাক। মিড-অন থেকে পেছনে ছুটে ভালো ক্যাচ নেন ইমরুল।
অষ্টম ওভারে ফিরতি স্পেলে ফেরেন নাহিদুল, এবার দেন ১ রান। নবম ওভারে নিজের চতুর্থ ওভার করতে এসে নাহিদুল পেয়ে যান ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইলের উইকেট। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসা ক্যারিবিয়ান সুপারস্টার নাগাল পাননি বলের, হন স্টাম্পিং।
২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক নাহিদুল ইসলামের। শুরুর দিকে ব্যাটার হিসেবে পরিচয় থাকলেও নিজের কার্যকরী অফস্পিন দিয়ে তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার। ৫৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে করেছেন বল করেছেন ৪৫ ইনিংসে। ২০.১৬ গড় এবং ৫.৮১ ইকোনমি রেটে শিকার করেছেন ৩৬ উইকেট।
মঙ্গলবারের ম্যাচে কুমিল্লার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন শহীদুল ইসলাম, শূন্য রানে ফেরান উইন্ডিজ তারকা ডুয়ানো ব্রাভো এবং জিয়াউর রহমানকে। তানভির ইসলামের শিকার নুরুল হাসান সোহান (১৪ বলে ১৭) এবং জ্যাক লিনটটকে (৫ বলে ৮)। করিম জানাতও নেন দুই উইকেট। আফগান পেসারের বলে ক্রিজ ছাড়েন তৌহিদ হৃদয় (১৪ বলে ১৯) এবং নাঈম হাসান (ডাক)। মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার নাজমুল হোসেন শান্ত।
এই ওপেনারের ব্যাট থেকেই আসে বরিশালের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান। আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেয়া ১৫৯ রানের টার্গেটে ৯৫ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় বরিশাল। ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা পায় ৬৩ রানের বড় জয়।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান জড়ো করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট ১৯ রান, করিম জানাত ২৯ রান করেন। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাট থেকে।
সূত্র: মানবজমিন