করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যে লকডাউনের সময় একাধিকবার মদ্যপানের পার্টি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ব্রিটিশ ক্যাবিনেট অফিস ও পুলিশ পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন কবে নাগাদ সামনে আসবে তা এখনো জানা যায়নি।
তবে এ ইস্যুতে পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বরিস জনসন। পার্লামেন্টে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে ‘নিয়মভঙ্গকারীদের পদ ছাড়া উচিত’ স্বীকার করলেও নিজে আপাতত এ কাজ করবেন না বলে জানালেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
বুধবার পার্লামেন্টে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, কোনো মন্ত্রী জেনেশুনে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করলে পদত্যাগ করতে হবে, এই নিয়ম তার জন্যও প্রযোজ্য কি না? জবাবে বরিস জনসন বলেন, অবশ্যই।
স্টারমার বলেন, কেউ পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করলে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। তাহলে আপনি কি পদত্যাগ করবেন? এক্ষেত্রে জনসনের উত্তর, না।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্টি নিয়ে তদন্তের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। তার সরকার যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ত।
লকডাউনে পার্টির বিষয়ে একেকবার একেক ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বরিস জনসন। প্রথমে তিনি বলেছিলেন, কোনো নিয়মভঙ্গ হয়নি। পরে এ ধরনের জনসমাগমে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চান তিনি।
সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন