সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদাকে এবার এক হাত নিলেন বর্তমান সিইসি কে এম নুরুল হুদা। সেই সঙ্গে কোটি টাকা আর্থিক অনিয়ম থাকায় নাগরিক সংগঠন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে এটিএম শামসুল হুদা সাহেব ছবক দিলেন। তিনি বললেন- আমাদের অনেক কাজ করার কথা ছিল, তারা করতে পারেননি, বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। একজন সিইসি হিসেবে তার কথা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। ইসি ইজ ওয়ান অব দ্য মোস্ট কমপ্লেক্স ইন্সটিটিউশন। এরমধ্যে একজন বাহবা নিয়ে যাবেন বা স্বীকৃতি নিয়ে যেতে পারেন- এটা সম্ভব না। তার পক্ষে সম্ভব; আমিত্ব বোধ থেকে বলতে পারেন ।’
আজ রবিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ সদস্যের ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর আগে, সম্প্রতি এটিএম শামসুল হুদা বর্তমান ইসির সমালোচনা করে বলেন- বর্তমান নির্বাচন কমিশন সদিচ্ছা থাকলে ভালো নির্বাচন করতে পারতো। তাদের পারফরমেন্স সন্তোষজনক নয়। তারা বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা বিরাজনীতি পরিবেশে সাংবিধানিক ব্যত্যয়ও ঘটিয়েছেন বলে এসময় মন্তব্য করেন কে এম নুরুল হুদা। সাবেক আমলা এটিএম শামসুল হুদার সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করা কখনই সম্ভব না বলে উল্লেখ করেন বর্তমান এই সিইসি। তিনি বলেন, ‘ইসির দায়িত্ব ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা। তিনি নির্বাচন করেছেন ৬৯০ দিন পরে। এ সাংবিধানিক ব্যত্যয় ঘটানোর অধিকার তাকে কে দিয়েছে? তখন গণতান্ত্রিক সরকার ছিল না, সেনা সমর্থিত সরকার ছিল; এমার্জেন্সির কারণে এটা করেছে। গণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে করা সম্ভব না।’
সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন