মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পরকীয়ার জেরে সালেহা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে রেজাউল মন্ডল নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত রেজাউলের বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নিহালপুর গ্রামে। তিনি পেশায় একজন চা বিক্রেতা। আর নিহত সালেহা বেগম একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রেজাউলের সঙ্গে সালেহার পরকীয়ার সর্ম্পক ছিল। সালেহার স্বামীও আরিচা ঘাটে চায়ের দোকানে কাজ করতেন। দোকানে কাজের সুবাদে তিনি গভীর রাতে বাড়িতে আসতেন।
২০১১ সালের ১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সালেহা বাড়ি থেকে বের হলে নিখোঁজ হন। পরদিন ভোরে আরিচার আবহাওয়া অফিসের পেছন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সালেহার ভাই ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে রেজাউল ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শিবালয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার পরদিনই রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। পরে রেজাউল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রেজাউলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন। বর্তমানে রেজাউল জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
সূত্র: আমাদের সময়.কম