মারুফ সরকার ,বিনোদন প্রতিনিধি :
অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আহসান হাবিব নাসিম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রওনক হাসান।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) শিল্পকলা একাডেমিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টার কিছু পর ভোট শুরু হলেও ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকায় ভোট গ্রহণ সম্পূর্ণ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। রাত সোয়া ১০টার দিকে এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এফডিসির নির্বাচনের মতো অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন প্যানেল ভিত্তিক নয়। ফলে এ নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন নাট্যাঙ্গনের একঝাঁক তারকা।
এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছিলেন আহসান হাবীব নাসিম ও শাহাদাৎ হোসেন নিপু। এছাড়া সহ-সভাপতি তিনটি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন পাঁচজন। তারা হলেন- দিলু মজুমদার, তানিয়া আহমেদ, আনিসুর রহমান মিলন, সেলিম মাহবুব ও ইকবাল বাবু।
সাধারণ সম্পাদক পদে লড়েছেন রওনক হাসান ও কবীর টুটুল। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন নাজনীন হাসান চুমকি, শামীমা তুষ্টি ও জামিল হোসেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লড়েছেন সাজু খাদেম, তুষার মাহমুদ ও জুলফিকার চঞ্চল। আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, রওনক বিশাখা শ্যামলী।
আরও পড়ুন: না খেয়ে বসে আছি, তবু নিয়ম ভাঙিনি: ইলিয়াস কাঞ্চন
কার্যনির্বাহী সাতটি সদস্য পদের জন্য ২০ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। তারা হলেন- আবুল কালাম আজাদ, আশরাফ কবির, আইনুন নাহার পুতুল, আশরাফুল আলম খান, এএএম গোলাম কিবরিয়া (তানভীর), খালেদ আহমেদ সালেহীন (রাজীব সালেহীন), নুরুন নাহার বেগম, মরিয়ম সরকার (মিষ্টি মারিয়া), মাসুদ আলম তানভীর (তানভীর মাসুদ), মিজানুর রহমান (মাজনুন মিজান), মো. আব্দুল হান্নান আখন্দ, মো. আমিনুল বারী (এজাজ বারী), মৌসুমী হামিদ, রেজাউল করিম সরকার (রেজাউল রাজু), শামস সুমন, শ্যামল জাকারিয়া, স্মরণ কুমার সাহা, সংগীতা চৌধুরী, সূচনা সিকদার, হাফিজুর রহমান (হিমে হাফিজ)।
অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন খায়রুল আলম সবুজ। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন নরেশ ভূঁইয়া ও মাসুম আজিজ। এ ছাড়া নির্বাচনে আপিল বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন অভিনেতা মামুনুর রশীদ ও আইনজীবী জুয়েল। তারা সবাই অভিনয়শিল্পী সংঘের সদস্য।
প্রাথমিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সদস্য সংখ্যা ১ হাজার ১০০। পূর্ণাঙ্গ ৯০০ সদস্যের মধ্যে ৬০ জনের বেশি মারা গেছেন। বেশ কয়েকজন থাকেন দেশের বাইরে। সবকিছুর পর ভোটাধিকার রয়েছে ৭৫২ জনের। দিন শেষে মোট প্রদান করেছেন ৬৪৬ জন ভোটার।