সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘মানহানিকর ও আপত্তিকর কথা বলার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার ক্ষমা চাওয়া উচিত। সিইসির বক্তব্যে কেবল আমার নয়, সুজনের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন, সবার মানহানি হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে মানহানি মামলা করব কি না, পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
আজ শনিবার ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিইসির দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুজন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. তোফায়েল আহম্মেদ, এম হাফিজউদ্দীন খান, ড. শাহদীন মালিক, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, দিলীপ কুমার সরকারসহ সুজনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সুজন সম্পাদক বলেন, দেশের মর্যাদাপূর্ণ একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে বসে তাকে এমন মিথ্যাচার করতে দেখে আমরা হতবাক। তার এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদেই আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন।
সুজনকে দেওয়া কাজ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এটি টেকনিক্যাল বিষয়। আমি টেকনিক্যাল পদ্ধতি জানি না। আদালতের রায় আছে যে, প্রার্থীদের (হলফনামা) তথ্য প্রচার করতে হবে। তখন তৎকালীন এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন এ কাজে আমাদের সহায়তা নিয়েছিল। আমরা জানি না; যেহেতু টেকনিক্যাল বিষয়, সেহেতু তারাই বলতে পারবেন কোনো প্রক্রিয়ায় কাজ দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা অনেক। রাতকে দিন আর দিনকে রাত করা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তারা সব কাজ করতে পারে। আদালতের রায় আছে- নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ উঠলে ইসি তদন্ত করতে পারে। তদন্তে সেই অভিযোগ প্রমাণ হলে নির্বাচন বাতিল করতে পারে। কিন্তু তারা কোনোটিই করেনি।’
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমাক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘আরএফইডি টক উইথ কে এম নূরুল হুদা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। কোনো বিজ্ঞপ্তি বা কোনো দরপত্র ছাড়াই সুজনকে নির্বাচনী তথ্য প্রচারে কাজ দেওয়া হয়েছিল বলে সম্প্রতি অভিযোগ তোলেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। এমনকি তিনি কোন প্রক্রিয়ায় কাজ দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রশ্নও করেন।
সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন