ইউএনও’র সহায়তায় ভিজিএফ চালের পরিবর্তে ‘নূরজাহান’ চাল পেলেন জেলেরা। শনিবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার দুপুরে কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলেদের জন্য ভিজিএফের চাল তিন কেজি করে কম দেয়া এবং ৩২ জন জেলের চাল পাননি। এ ঘটনা শুনে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জেলেদের সাথে কথা বলে এর সত্যতা পান ইউএনও মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস। পরে সন্ধ্যায় কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নে সিংবাড়ি ও সুবিদখালী বাজার থেকে চাল কিনে জেলের মাঝে বিতরণ করেন।
কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ২৬৮ জন তালিকাভুক্ত জেলেদের মধ্যে ৩২ জনকে ২০ কেজি করে নূরজাহান চাল এবং ২৩৬ জন জেলেকে তিন কেজি করে নূরজাহান চাল বিতরণ করা হয়।
জেলেরা জানান, আমাদের ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম শেষ হয়েছে তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে। গত বছর ২০ অক্টোবর জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণের কথা থাকলেও চালগুলো ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম ঘরে পড়ে ছিল। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের খামখেয়ালিপনার কারণে জেলেদের চাল বিতরণ তিন মাস বিলম্ব করেছেন। তার সাথে একাধিকবার আলাপ করা সত্ত্বেও তিনি চাল বিতরণ করেননি।
‘নূরজাহান’ চাল পাওয়া জেলে মোঃ করিম বলেন, প্রথমে চাল না পেয়ে হতাশ হয়েছিলাম। পরে ইউএনও স্যার এসে জেলেদের ডেকে নতুন চাল পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।
এ ব্যাপারে বর্তমান কাককড়াবুনিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মাহাবুব আলম স্বপন জানান, ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে যে চাল পেয়েছি, সে চাল আমি জেলেদের মাঝে বিতরণ করেছি।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তানজিমুল ইসলাম বলেন, জেলেদের চাল কম দেয়া হচ্ছে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০ কেজি করে বিতরণ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলেদের সাথে কথা বলেছি এবং তারা যেন চাল পায় সেই ব্যবস্থা করেছি।
সূত্র: নয়াদিগন্ত