মাদক মামলায় বিচারিক আদালতের অভিযোগ (চার্জ) গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। রোববার তার আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত সপ্তাহে
করা এই আবেদনটি রোববার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়েছিল। আগামী সপ্তাহে আবেদনটি শুনানির জন্য আসতে পারে। তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি যুক্তিতে মামলাটি বাতিল চেয়ে আবেদন করেছি, যেটা শুনানিতে তুলে ধরা হবে।
গত ৫ই জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় চার্জ গঠন করে আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামীকাল ১লা ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার। চার্জ শুনানিকালে তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করা হয়।
গত বছর ৪ঠা আগস্ট বিকালে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তার নামে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়। মামলায় পরীমনির ৫ই আগস্ট চারদিন এবং ১০ই আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ই আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১৯শে আগস্ট আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২১শে আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩১শে আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন তিনি কারামুক্ত হন। গত ৪ঠা অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের নামে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন। পরীমনির বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, তার বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন বলেও অভিযোগে বলা হয়।
মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। গত ১৫ই নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। ১৪ই ডিসেম্বর চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-১০ এ বদলির আদেশ দেন।
সূত্রঃ মানবজমিন