বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের আজকের দিনের প্রথম খেলায় ঘরের মাঠের দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৫২ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের সবার ওপরে উঠে গেলো শক্তিশালী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম খেলতে নেমেছিলো পয়েন্ট টেবিলের সবার ওপরে থেকে। ঠিক তার পরের অবস্থানেই ছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ন্স।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো চট্টগ্রামের নতুন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। তবে তার সিদ্ধান্তকে বেশ ভালোভাবেই ভুল প্রমাণ করে ছেড়েছেন কুমিল্লার ব্যাটাররা। বিশ্রাম কাটিয়ে দলে ফেরা লিটন দাস প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই চড়াও হন চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর। ৩৪ বলে ৪৭ রান করেন জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান। চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর বেশি তান্ডব চালিয়েছেন অবশ্য কুমিল্লার দুই বিদেশী ব্যাটার ফাফ ডু প্লেসিস আর ক্যামেরন ডেলপোর্ট। ডু প্লেসিস ৫৫ বলে ৮৩ রান আর ডেলপোর্ট করেন ২৩ বলে ৫১ রান। ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৩।
জবাবে ১৮৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই ধুঁকতে শুরু করে চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা। টুর্নামেন্ট জুড়েই ব্যর্থ ওপেনার কেনার লুইস আজও ফিরে গেছেন মাত্র ৪ রান করেই। তিন নাম্বারে নামা আফিফ হোসেনও আজ তেমন কিছুই করতে পারেননি দলের জন্য। দলের ৯ রানের মাথাতেই ফেরেন তিনি। বিগত দুই ম্যাচে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও আজ আবার ব্যর্থ সাব্বির রহমান। ৭ বলে ৫ রান করে নাহিদুলের বলে ফেরেন সাব্বির। এরপর ক্রিজে আসেন এক ম্যাচ আগে অধিনায়কত্ব হারিয়ে দল ছেড়ে যাওয়ার গুঞ্জন তুলে বিপিএল পাড়ায় সাড়া ফেলে দেয়া মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে আজ তিনিও স্পঙ্গী হতে পারলেন না উইল জ্যাকসের। মিরাজও ফিরে যান নাহিদুলের বলেই ৯ বলে ১০ রান করে। মিরাজের পর ব্যাটিংয়ে আসেন চট্টগ্রামের বর্তমান অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। ৫ বলে ৮ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাঈম। চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৬৬ রান।
এতোজনের যাওয়া আসার ভিড়ে এক প্রান্ত আগলে টিকে ছিলেন শুধু চট্টগ্রামের আরেক ওপেনার উইল জ্যাকস। কুমিল্লার বোলারদের শাস্ন করে ৪২ বলে ৬৯ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। তানভীর ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে যখন তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরেন দলের রান তখন ৮ উইকেটে ১২৩। উইল জ্যাকসের ফেরার পর আর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। শেষমেশ চট্টগ্রাম অলআউট হয়ে যায় ১৭.৩ ওভারে ১৩১ রানে।
কুমিল্লার হয়ে নাহিদুল ইসলাম ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম আর শহীদুল ইসলাম নেন ২ টি করে উইকেট।
৫৫ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জিতে নেন ফাফ ডু প্লেসিস। আর এখন পর্যন্ত ৩ ম্যাচ খেলে ৩ ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
সূত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল