চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা ও প্রাণের ভাষা। বিশ্বে প্রথম আমরাই রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যা এখন বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ইদানিংকালে বিভিন্ন সাইনবোর্ড, আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজি ভাষায় ছাপার প্রবণতা বেড়ে গেছে, যা বাঙালি হিসেবে আমাদের কাছে কাম্য নয়। এতে করে দেশের সংবিধানকে অবমাননা করা হয়। তাই চসিকের পক্ষ থেকে বাংলায় নামফলক চালু করতে যা করা প্রয়োজন সব পদক্ষেপই নেয়া হবে।
সোমবার সকালে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে সম্মেলন কক্ষে চসিক মেয়রের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ভাষা প্রচলন উদ্যোগ ও মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে (মুক্তিযোদ্ধা ও জনমুখী বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের যৌথ প্রয়াস) একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল হক শাহ, রাজনীতিক রাজা মিয়া, মহিন উদ্দিন, হাসান মারুফ রুমি, মশিউর রহমান খান, নারী নেত্রী হাসিনা সিনঞ্চন ভৌমিক, নারী নেত্রী আসমা আক্তার, রাজনীতিক ডা. শাহ আলম ভূঁইয়া, তৌহিদুল আলম কাজল, ছাত্রনেতা লিটন চৌধুরী রিংকু, ব্রিগেড-৭১ সংগঠনের কাজী রাজেস ইমরান, সংগঠন চৈত্রগান’র অপূর্ব নাথ, রাজনীতিক নেতা সুজউদ্দোলা বাবুল, অনুবীক্ষণ পত্রিকার ইনতেখাব বাবুল, প্রাক্তন জাসদ ফোরামের মো. শফি। মেয়র বাংলা ভাষা প্রচলন উদ্যোগের প্রতিনিধিদলের গৃহীত কর্মসূচীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
বাংলা ভাষা প্রচলন উদ্যোগের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে সংবিধান, আইন আদালতের নির্দেশে অনুসারে সরকারি-বেসরকারি সকল অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামফলকে ৬০ ভাগ বাংলা লিখার প্রচলনের বিধান করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমাদের দাবি ও আন্দোলনের প্রেক্ষিতে চসিক বিগত মেয়রের সময়ে অনেক ব্যাংক বীমা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে কালি লেপন করতে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু এখন অনেক নামফলক বিদেশী ভাষায় টাঙানো রয়েছে। একারণে আমরা আবারো মাঠে নামলাম।
সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন