বিশ্বজুড়ে চলছে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব। এই ভাইরাসের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনার তাণ্ডবের মধ্যেই ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ডায়াবেটিসের মত্যৃও। গত বছর (২০২১) দেশটিতে ডায়াবেটিসজনিত রোগে ভুগে আরও এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পরপর দুই বছর দেশটিতে এ রোগে এক লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুর মাইলফলক ছাড়িয়ে গেল। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল কেয়ার কমিশন প্যানেল কংগ্রেসে এ তথ্য তুলে ধরেন।
মার্কিন কংগ্রেসে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু আমেরিকায় না বরং সারাবিশ্বেই উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ২০১৯ সালেও আমেরিকায় সর্বোচ্চ জীবনঘাতী রোগের তালিকায় সাত নম্বরে ছিল ডায়াবেটিস। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগে মৃত্যুবরণ করেছেন। আর, আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ডায়াবেটিসজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনা মহামারীর মধ্যে ডায়াবেটিসের মত দীর্ঘমেয়াদী রোগের চিকিৎসার সুযোগ সীমিত হওয়া এবং ডায়াবেটিস আক্রান্ত কোভিড রোগীদের অন্যান্য রোগীদের তুলনায় অধিক জটিলতা দেখা দেয়া ও মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া গত দুই বছরে ডায়াবেটিসে মৃত্যু বৃদ্ধির কারণ।
দেশটির মহামারী বিশেষজ্ঞ ডা. পল সু রয়টার্সকে বলেন, “টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ডায়াবেটিসে এত বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু সতর্কবার্তা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ডায়াবেটিস টাইপ-২ প্রতিরোধযোগ্য হলেও এ রোগে এত মানুষের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।”
উল্লেখ্য, আমেরিকায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় তিন কোটি ৭০ লাখ, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ। দেশটির চিকিৎসাবিদদের আশঙ্কা, যেভাবে ডায়াবেটিসের বিস্তার ঘটছে, তাতে প্রতি তিনজনে একজন আমেরিকান জীবদ্দশায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবেন। সূত্র: রয়টার্স