খেলা ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, বুধবার
মিরাজ-বিতর্কের ভেতর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাঈল হায়দার মল্লিক দিলেন আরেক বিস্ফোরক তথ্য। তিনি জানালেন, একজন ক্রিকেটার বিপিএল খেলতে চান না। তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে চেয়েছেন ফুল পেমেন্ট। এরই মধ্যে ৭৫ শতাংশ টাকা পরিশোধও করা হয়েছে সেই ক্রিকেটারকে। কিন্তু পুরো টাকা দেয়া না হলে খেলবেন না তিনি। নিয়ম অনুসারে বাকি ২৫ শতাংশ টাকা তিনি পাবেন টুর্নামেন্ট শেষ হলে। তবে এই তথ্য দেয়ার সময় ক্রিকেটারের নাম উল্লেখ করেননি মল্লিক। পরে জানা যায় সেই ক্রিকেটার জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ।
যিনি বিপিএলে এবার খেলছেন সিলেট সানরাইজার্সের হয়ে।
নিয়মের বাইরে পুরো পারিশ্রমিক চেয়ে তাসকিন না খেলার হুমকিও নাকি দেন মালিকপক্ষকে। তবে এই পেসারের দাবি, পুরো ঘটনাটাই ভুল বোঝাবুঝি। গতকাল তাসকিন বলেন, ‘আসলে আমার সঙ্গে তেমন কিছুই হয়নি। আমার সঙ্গে জয় ভাইয়ের কোনো দ্বন্দ্ব বা এরকম কিছু হয়নি। এটা আসলে একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি ভেবেছিলাম, আমার পারিশ্রমিক খেলা শেষ হওয়ার আগেই পুরোটা ক্লিয়ার হবে। আসলে একটা প্রক্রিয়া আছে, সে প্রক্রিয়া অনুযায়ীই ক্লিয়ার হবে।’
দুই পক্ষের এই ভুল বোঝাবুঝি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের মধ্যস্থতায় সমঝোতা হয়েছে। তবে তাসকিন নিজে বলছেন মালিকপক্ষের সঙ্গে কোনো বিবাদ হয়নি, যা হয়েছে তা যোগাযোগের ঘাটতিতে। এমনকি সিলেট সানরাইজার্সের মালিক শেখ কুদরত-ই ইবতিহাজ জয়কে অমায়িক মানুষ বলেও উল্লেখ করেন জাতীয় দলের এই পেসার। তিনি বলেন, ‘বায়ো-বাবলে অনেক সময় মালিকরা টিম হোটেলে থাকেন না। আর জয় ভাই খুবই অমায়িক মানুষ। তার সঙ্গে আমাদের সবারই বোঝাপড়া অনেক ভালো। কেবল একটা ভুল বোঝাবুঝি। আমি কয়েকবার ফোন করেছিলাম, ভাইয়া কোনোভাবে মিস করেছে। তখন আসলে দেরি হয়ে গিয়েছিল। আমার আসলে জানার কৌতূহল ছিল।’
নিয়ম অনুসারে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ৬০ শতাংশ ও দুই কিস্তিতে টুর্নামেন্ট চলাকালীন বাকি ৪০ শতাংশ পারিশ্রমিক পরিশোধ হওয়ার কথা। সেখানে তাসকিন সিলেট সানরাইজার্সের কাছ থেকে ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন ৭৫ শতাংশ। তাসকিন ভেবেছিলেন যেহেতু তিনি সরাসরি চুক্তিবদ্ধ, পারিশ্রিমিকের পুরোটা টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই পাবেন। আর এ কারণেই কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি। তাসকিন বলেন, ‘এখানেই একটা মিস কমিউনিকেশন হয়েছে, এটা ক্ল্যাশের বিষয় না। এটা নিউজেরও বিষয় না, আমি মনে করি। জয় ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে এবং বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল থেকেও বলা আছে টাকাটা আমি প্রসিডিউর অনুসারে পাবো। এটা জানার জন্যই আসলে ফোন করা হয়েছে। আমার সঙ্গে আমাদের দলের মালিক বা অন্য কারো কোনো ক্ল্যাশ নাই।
সূত্র: মানবজমিন