ট্রাকের চাপায় পড়ে শরীর থেকে মাথাটা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। পুলিশ এসে মৃতদেহটা নিয়ে গেছে। তবে পড়ে আছে শীত নিবারণে ব্যবহৃত সেই মাফলার আর টুপিটি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হিমেল মাহমুদের দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে রাত অব্যধি রয়ে গেছে শেষ এই স্মৃতিটুকু।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুর্ঘটনার সেই স্থানটি বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত সেই স্থানটিতে পড়ে রয়েছে একটি ছেঁড়া মাফলার আর একটি টুপি।
এর আগে রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের সামনে এই স্থানটিতে ট্রাকচাপায় নিহত হন তিনি। পরে রাত সাড়ে দশটার দিকে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ট্রাকচাপায় মারা যান মাহমুদ হাবিব হিমেল। এ ঘটনায় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা অন্তত ৫টি ট্রাক ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
নিহত হিমেলের বাড়ি বগুড়া জেলায়। তবে তিনি বেড়ে উঠেছেন নাটোরের মামার বাড়িতে। আগামীকাল সেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে তার মৃত দেহটি।
মাহমুদ হাবিব হিমেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইন কারুশিল্প ও শিল্পকলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় রায়হান প্রামাণিক নামে আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ডক্টর প্রদীপ কুমার পান্ডে জানান, সকালে লাশ নিয়ে যাওয়া হবে। তবে সময় এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। নিহত হিমেলের মামা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।
সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন