প্রেমের টানে স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন বধূ। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় তিন মাস। বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও স্ত্রীর হদিশ পাননি স্বামী। কিন্তু স্ত্রীকে ফিরে পেতে মরিয়া তিনি। তাই নিয়মিত থানায় ছুটছেন তিনি। একটাই আশা, হয়তো খোঁজ মিলবে স্ত্রীর। ফের সেজে উঠবে সংসার। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলির। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
হুগলির চুঁচুড়া চকবাজার ২ নং সোনাটুলি লেনের বাসিন্দা বছর বাইশের শেখ সালাউদ্দিন। প্রতিবেশী ১৫ বছরের সালমার প্রেমে পড়েছিলেন যুবক। তিনবছর প্রেমের পর আইন মেনে বিয়ে করে যুগল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। বছর ছয়েক পর দ্বিতীয়বার বাবা-মা হন সালাউদ্দিন-সালমা। স্ত্রী-সন্তানদের টানে বাইরের কাজ ছেড়ে পাকাপাকিভাবে চুঁচুড়ায় বসবাস শুরু করেন যুবক। ভালোই কাটছিল দিন। করোনাকালে লকডাউন ফের ডেকে আনে বিপর্যয়। সালাউদ্দিন কাজ হারান। সংসারে আর্থিক সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। কখনও দিনমজুরের, কখনও রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতে থাকেন সালাউদ্দিন। এসবের মাঝে মাস তিনেক আগে ছোট ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি যাওয়ার নাম করে নিখোঁজ হয়ে যান সালমা।
বহু জায়গায় খোঁজ করেও স্ত্রীর হদিশ পাননি সালাউদ্দিন। আচমকা একবার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে স্ত্রী জানান, তিনি কাজে বাইরে গিয়েছেন। দুই বছর পর বাড়ি ফিরবেন। পরে বহুবার চেষ্টা করেও ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে পারেননি সালাউদ্দিন। এরপর স্ত্রীর খোঁজে শ্বশুর বাড়িতে ছুটে যান তিনি। জানতে পারেন, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন স্ত্রী সালমা। এরপর তিনি চুঁচুড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু তিন মাস কেটে যাওয়ার পরও স্ত্রী, সন্তান ফিরে না আসায় হতাশ হয়ে পড়েছেন সালাউদ্দিন। প্রতিদিনের মতো বুধবার সালাউদ্দিন থানায় ছুটে যান, তার স্ত্রী ও সন্তানের কোনো খোঁজ পাওয়া যায় কি না সেই আশায়।
এদিন থানার সামনে দাঁড়িয়েই রীতিমতো ছলছল চোখে সালাউদ্দিন জানান, সালমার সঙ্গে আইন মেনে বিয়ে হয়েছিল তার। কোনোদিন যে সালমা এইরকম ঘটনা ঘটাবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তিনি। এরপরই সালাউদ্দিন জানান, লকডাউনের সময় যখন সংসারে আর্থিক অনটন চলছে তখন স্ত্রীর হাতে একদিন একটি মোবাইল ফোন দেখে হঠাৎই সন্দেহ হয়েছিল তার। স্ত্রী জানিয়েছিল কুড়িয়ে পেয়েছে। তবু মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। কিন্তু বুঝতে পারেননি ওই ফোনের দৌলতেই পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন স্ত্রী।
সূত্রৎ বিডি প্রতিদিন