সাজ্জাদুল আলম খান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার আংগারগাড়া গ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিশু আয়াত (৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যায়। নিহত আয়াত ভালুকা উপজেলার তামাট ঢাকুরিয়া গ্রামের (জয়নাতলা) সৌদি প্রবাসী আজহারের ছেলে।
স্থানীয় ও পরিবারে সূত্রে জানাযায়, ২২ শে জানুয়ারি আংগারগাড়া এম রহমান আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র বিদ্যালয় ছুটির পর বাসায় যাওয়ার পথে আংগারগাড়া পশ্চিম বাজারে আসলে ঐ গ্রামের রামপুরা চালার প্রবাসী শামসুল হকের ছেলে কবির হোসেন মোটরসাইকেলে তাকে ধাক্কা দিলে সে গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে তাকে আংগারগাড়া বাজারে রুমি ডাক্তারের কাছে মাথায় বেন্ডিস করে ভালুকা হাসপাতালে নিয়ে যান। তারপর ময়মনসিংহ মেডিকেলে রেফার্ড করা হয় এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে অবস্থা অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা ধানমন্ডি টুয়েন্টি সেভেন প্লাস হাসপাতালে আইসিও তে ভর্তি করা হয়। ২রা ফেব্রুয়ারি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে নয়টায় মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত আয়াতের লাশ গতকাল ভালুকা মডেল থানায় আনা হলে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে আয়াতের মৃত্যু সংবাদ শুনে জন্মস্থান ঢাকুরিয়া ও নানার বাড়ী রামপুরা চালায় স্বজনদের মধ্যে কান্নার আহাজারী ও শোকের মাতমে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায়। ৩ই ফেব্রুয়ারী রাত ৯:৩০টায় তামাট জয়নাতলা আয়াতের নিজ গ্রামে মরদেহ দাফন করা হবে।
স্থানীয় লোকজন জানান, স্কুল ছাত্র কবির হোসেন বয়সে অপরিপক্ক পরিবারে বাবা প্রবাসে থাকায় তার মা কমলা বেগম মোটরসাইকেল কিনে দিয়ে ছেলের সুন্দর ভবিষৎ অন্ধকার করেছে।
সরেজমিনে জানাযায়, কবির হোসেন কিশোর গ্যাং নিয়ে এলাকায় বেপরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল চালনা করে এমনকি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার বয়সও তার হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভালুকা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, গতকাল থানায় লাশ পেয়ে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে।