রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে চায়না খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকালে উপজেলার দৌলতদিয়া তোরাপ শেখেরপাড়া থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশের ধারণা, ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তবে নিহতের স্বজনদের দাবি, মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামী রেজাউল শেখ (৩৫) পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
নিহতের বাবা সিরাজ দেওয়ান জানান, ৯ বছর আগে রেজাউলের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সে চায়নাকে নানাভাবে অত্যাচার করতো। ঠিকমতো রোজগার করত না। নেশাগ্রহণসহ বাজে আড্ডায় লিপ্ত থাকতো। অনেক রাত করে বাড়ি ফিরত। মেয়ে ও দুই নাতনির ঠিকমতো ভরণপোষণ দিত না। প্রায়ই আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতো সে।
তার দাবি, শুক্রবার রাতে এসব বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে রেজাউল তার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে। এরপর সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার চেয়েছেন সিরাজ দেওয়ান।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। নিহতের স্বামী মাদকাসক্ত বলে জানতে পেরেছি।
তার ধারণা, অভাবের সংসারে ঝগড়ার কারণে অভিমান করে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তারপরও প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য লাশ ময়নাতদন্ত করতে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, স্থানীয়রা অভিযুক্ত রেজাউলকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: যুগান্তর